ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুদের নাচে মুগ্ধ দর্শক

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১২ মার্চ ২০১৮

শিশুদের নাচে মুগ্ধ দর্শক

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া ॥ নৃত্য পিয়াসীদের জন্য সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম। সৃষ্টিশীল এ নৃত্যনাট্যে ছিল বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন থেকে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পর্যন্ত ইতিহাসের পটভূমি। যা দর্শককে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশমাতৃকার চেতনায় উদ্দীপ্ত করে তোলে। বাঙালী সংস্কৃতির শিকড় যে কত গভীরে তা তুলে ধরা হয় বিষয়ভিত্তিক নাচগুলোতে। শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ টিটু মিলনায়ন ভর্তি প্রায় দেড় হাজার দর্শকের মুহুর্মুহু করতালিতে ছিল অভিনন্দনের ঝড়। নৃত্যছন্দম আর্টস একাডেমির ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ধ্রুপদী নাচ এবং রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে নাচগুলো ছিল আকর্ষণীয়। শিশু আদৃতাসহ অন্যদের নাচে মুগ্ধ দর্শক। অনুষ্ঠানে এসেছিলেন গীতিকার ও সুরকার মইনুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। বললেন, এ ধরনের নাচের অনুষ্ঠান ঢাকায় হয় কালেভদ্রে। বগুড়া আরও উন্নত। নাট্য ব্যক্তিত্ব ও গ্রাম থিয়েটারের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না বললেন, নৃত্যছন্দম প্রমাণ করল বগুড়া অনেক এগিয়ে। নৃত্যছন্দমের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সৈয়দ আশিক ফারুক বলেন, কলকাতার রবীন্দ্রভারতী থেকে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে তিনি মাঠ পর্যায়ের শিশু কিশোরদের সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ করতে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। একাডেমির শিশু শিল্পীদের মধ্যে আদৃতা, সাদিয়া, অর্পা, রূপন্তী, নিবেদিতা, ঐশ্বি ও তরুণদের মধ্যে জাহিদ হাসান, শান্ত, লিটু, শুভসহ একাডেমির শিল্পীরা সকল ধরনের নাচ রপ্ত করেছে। মনিপুরী, কত্থক, ভরতনাট্যম নাচের পাশাপাশি লোক নাচকেও গুরুত্ব দেয়া হয়। মঞ্চে আলোক প্রক্ষেপণের স্পেশাল ইফেক্টে মনে হচ্ছিল নাচের গতির সঙ্গে আলোর নাচন এক হয়ে গিয়েছে।
×