ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শতরঞ্জি নিয়ে নতুন আশা

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১১ মার্চ ২০১৮

শতরঞ্জি নিয়ে নতুন আশা

রংপুরের শতরঞ্জি ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ জাপান ও ভারতে সুনাম অর্জন করায় চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি এ শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে দেখা দিয়েছে নতুন আশা। এজন্য প্রথমে প্রয়োজন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা। তথ্য উপাত্ত থেকে দেখ গেছে- ২০০২ সালে প্রথম জাপানে শতরঞ্জি রফতানির করে আয় হয় ২০ হাজার ডলার। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে স্থানীয় শ্রমিকদের ডিজাইনে করা শতরঞ্জি রফতানি করে প্রতিবছর অর্জিত হচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। জানা গেছে- প্রতিবছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে পরিমাণ কারুশিল্পসামগ্রী রফতানি হয়, তার ৫০ ভাগই শতরঞ্জি। রফতানি হচ্ছে বিশ্বের ৩৬টি দেশে। বছরে আয় হচ্ছে প্রায় ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘আইকা’ বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন শতরঞ্জি সামগ্রী আমদানি করে তা ইউরোপের চাহিদা পূরণ করেছে। চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ‘আইকা’ ছাড়াও বিবি রাসেল ও কারুপণ্যের উদ্যোগে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার মাছকুটি গ্রামে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শতরঞ্জি কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। রংপুরের নিভৃত পল্লীতে উৎপাদিত শতরঞ্জি সামগ্রী ঢাকার বেশ কয়েকজন রফতানিকারকের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে ইউরোপের বাজারে। শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, ইউরোপের দেশগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী শতরঞ্জি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। কারণ, শিল্প এলাকায় অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুত সংযোগ না থাকা, কারিগরি জ্ঞানের অভাব, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় তারা শতরঞ্জি কারখানা গড়ে তুলতে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাদের মতে, সরকারী সহযোগিতা পাওয়া গেলে দেশের কাঁচামাল দিয়ে এই শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে দেশীয় শিল্পের ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি বৈদেশিক আয় এবং কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখবে শতরঞ্জি শিল্প।
×