ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নোয়াখালীতে দুই যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১১ মার্চ ২০১৮

নোয়াখালীতে দুই যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ১০ মার্চ ॥ অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে বেগমগঞ্জ উপজেলায় দুই যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার ভোরে উপজেলার একলাশপুর গ্রামের ভিআইপি সড়কের চৌকিদারবাড়ির পাশে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছে একলাশপুর গ্রামের সওদাগরবাড়ির সোলেমান মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৫) ও করিম তালুকদার বাড়ির আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ রবিন (২০)। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে হত্যাকা-ের কথা নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম মোল্লা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে গুলির শব্দে অনেকের ঘুম ভেঙ্গে যায়। অনেকে বের হয়ে দেখেন কয়েক যুবক হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছোটাছুটি করে প্রধান সড়কের দিকে চলে যাচ্ছে। অস্ত্রধারীরা চলে যাওয়ার পর লোকজন দেখতে পায় চৌকিদারবাড়ির পুকুরপারে গুলিবিদ্ধ এক লোক পড়ে আছে। কাছে গিয়ে স্থানীয়রা দেখতে পান পড়ে থাকা লাশ রবিনের। এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, নিহত মোহাম্মদ আলী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তার হাত ধরে এলাকায় ইয়াবার বড় চালান আসত। তার বিরুদ্ধে থানায় অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। নিহত রবিন মোহাম্মদ আলীর সহযোগী ছিল। সূত্র জানায়, বেগমগঞ্জ অন্যতম দুটি বাহিনী রয়েছে: একটি সম্রাট বাহিনী অপরটি খালাসি সুমন বাহিনী। মোহাম্মদ আলী এক সময় স্থানীয় সম্রাট বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিল। স¤্রাট পুলিশের হাতে আটক হলে মোহাম্মদ আলী ওই বাহিনীর দায়িত্ব নিয়ে এককভাবে চালিয়ে যায় তার বাহিনীর কর্মকা-। মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে একই এলাকার সন্ত্রাসী সুমন বাহিনীর বিরোধ রয়েছে। এরই জেরে হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে। বেগমগঞ্জ থানার ওসি ফিরোজ আলম মোল্লা বলেন, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ৮১০টি মামলা রয়েছে। তবে কারা তাকে ও তার সহকারী রবিনকে খুন করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ সকাল থেকে অভিযান শুরু করেছে বলে জানান। না’গঞ্জে নৈশ প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যা ॥ স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, সদর উপজেলার ফতুল্লার দেলপাড়ায় আবুল কাশেম চৌধুরী (৬২) নামে এক নৈশ প্রহরীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আর্থিক লেনদেনের জের ধরেই এ হত্যাকা-টি ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে দেলপাড়ার স্টার প্যাকেজিং কারখানায়। এ ঘটনায় পুলিশ স্টার প্যাকেজিং কারখানার মালিক সেলিম পাঠানকে আটক করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত আবুল কাশেম ওই কারখানার নৈশ প্রহরী ছিলেন। এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, আবুল কাশেম চৌধুরীকে শনিবার ভোরে কারখানায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার সকাল নয়টার দিকে কারখানার মালিকের ভাইসহ দুইজন বাসায় গিয়ে তার খোঁজ করলে পরিবারের লোকজনের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে কারখানার একটি রুমের মধ্যে নিহতের স্বজনরা আবুল কাশেমের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ তালাবদ্ধ রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামালউদ্দিন জানান, নিহতের চোখ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মালিক সেলিম পাঠানকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
×