ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অগ্রণী ব্যাংক- শিশু একাডেমি শিশু সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৩৯ লেখক

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১১ মার্চ ২০১৮

অগ্রণী ব্যাংক- শিশু একাডেমি শিশু সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৩৯ লেখক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তারা সবাই লেখেন সোনামণিদের জন্য। গল্প-কবিতা-উপন্যাস, রূপকথা কিংবা ছড়া লিখে আলোড়ন তোলেন খুদে পাঠকের মননে। শিশুদের জন্য নিরন্তর লিখে চলা সেসব লেখকরা শনিবার জড়ো হয়েছিলেন শিশু একাডেমি মিলনায়তনে। এদিন সকালে একসঙ্গে ছয় বছরের অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হলো। সব মিলিয়ে সাত বিভাগে ৩৯ জন শিশু সাহিত্যিক ও প্রচ্ছদশিল্পীকে প্রদান করা হয় এ পুরস্কার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস্্-উল ইসলাম। শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আনজীর লিটন। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সাহিত্য সৃষ্টির জন্য একটা ঐশী ক্ষমতার দরকার হয়। তবে চেষ্টা করলে সবাই কিছু না কিছু সাহিত্য রচনা করতে পারবে। সবাই হয়ত পেশা হিসেবে সাহিত্যচর্চা গ্রহণ না করতে পারলেও চর্চাটা চালিয়ে যাওয়ার খুব কঠিন কিছু নয়। তবে এজন্য প্রয়োজন সুযোগ, যা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি। কারণ প্রতিটি শিশুই এখন বিদ্যালয়ে যায়। বর্তমান সরকারের সময়ে শিশুদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হারও কমেছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সবার আগে পরিবারকে সচেতন হতে হবে। প্রত্যেক ঘরে ঘরে গিয়ে সরকারের পক্ষে শিশু নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব না। সেলিনা হোসেন বলেন, এই প্রজন্মই আগামী দিনের আলোকিত বাংলাদেশের হাল ধরবে। পুরস্কার কোন লেখকের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য হতে পারে না। এটা হতে পারে লেখকের অনুপ্রেরণার উৎস। ১৪১৮ থেকে ১৪২৩ বঙ্গাব্দ- এ ছয় বছরের অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৪১৮ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন রাশেদ রউফ ও খালেদ হোসাইন (কবিতা-ছড়া-গান); মোহিত কামাল (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); কাজী কেয়া (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ); তপন চক্রবর্তী (স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি) এবং নাসিম আহমেদ (বই অলংরণ)। ১৪১৯ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন হাসনাত আমজাদ (কবিতা-ছড়া-গান); দন্ত্যস রওশন (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); শেখ আনোয়ার (স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি); হানিফ খান (নাটক) এবং মনিরুজ্জামান পলাশ (বই অলকরণ)। ১৪২০ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন আখতার হুসেন (কবিতা-ছড়া-গান); দীপু মাহমুদ (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); সোহেল আমিন বাবু (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ); ফারুক হোসেন (অনুবাদ-ভ্রমণকাহিনী); আ শ ম বাবর আলী (নাটক) এবং বিপ্লব চক্রবর্তী (বই অলকরণ)। ১৪২১ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন রোমেন রায়হান (কবিতা-ছড়া-গান); ইমতিয়ার শামীম (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); তপন বাগচী (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ); মনসুর আজিজ (স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি) এবং মোমিন উদ্দীন খালেদ (বই অলকরণ)। ১৪২২ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন পলাশ মাহবুব (কবিতা-ছড়া-গান); ইমদাদুল হক মিলন (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); রীতা ভৌমিক (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ); ড. আলী আসগর (স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি); মাহফুজুর রহমান ও হাসান খুরশীদ রুমী (অনুবাদ-ভ্রমণকাহিনী); আশিক মুস্তাফা (নাটক) এবং সব্যসাচী মিস্ত্রী (বই অলকরণ)। ১৪২৩ বঙ্গাব্দে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন মারুফুল ইসলাম ও আহমাদ উল্লাহ (কবিতা-ছড়া-গান); মোশতাক আহমেদ (গল্প-উপন্যাস-রূপকথা); শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য জীবনী প্রবন্ধ); ডাঃ মিজানুর রহমান কল্লোল ও মশিউর রহমান (স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি); জামিল বিন সিদ্দিক (অনুবাদ-ভ্রমণকাহিনী); আবুল মোমেন (নাটক) এবং উত্তম সেন (বই অলকরণ)। পুরস্কার প্রদান শেষে শিশু একাডেমির শিশুদের পরিবেশনায় ছিল নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাঠকনন্দিত বইয়ের পুরস্কার পেল বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ॥ পথচলার চার দশক পূর্ণ করল দেশের অন্যতম প্রকাশনা সংস্থা ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল)। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সে আয়োজনে অসামান্য পাঠকনন্দিত বই হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। সে সঙ্গে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান ও মৃত্তিকাবিজ্ঞানী হিউ ব্রামার। পাঠকনন্দিত বই সম্মাননা পেয়েছে ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’, ‘চিলেকোঠার সেপাই’, ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’, ‘মূলধারা ৭১’, ‘একাত্তরের স্মৃতি’, ‘প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি’, ‘পোস্টকার্ডস ফ্রম বাংলাদেশ’ এবং ‘সেইলিং এগেইন্সট দ্য উইন্ড’। এছাড়াও বহুপ্রজ লেখক সম্মাননা, সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সহযোগী সম্মাননা ও পৃষ্ঠপোষক সম্মাননা ক্যাটাগরিতে আরও ৪০টি বই পুরস্কার পেয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আরও বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান, অন্যতম সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম, ইউপিএলের প্রতিষ্ঠাতা ইমেরিটাস প্রকাশক মহিউদ্দীন আহমেদ ও পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দীন। অনুষ্ঠানে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র পুরস্কারটি শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক ও কাজী আনিস আহমেদ। আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ইউপিএল ১৯৯১ সালে আমার প্রথম বই প্রকাশ করেছিল। গত ৪০ বছরে এই প্রকাশনাটি অনেক দূর এগিয়েছে। আজ এই প্রকাশনাটি একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। আমার এতদিনের অভিজ্ঞতায় একটা কথা বলতে পারি, এই প্রকাশনাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তারা খুব ভাল সম্পাদক দিয়ে বই সম্পাদনা করায় এবং বইয়ের মান খুবই ভাল হয়। লেখকের টাকাও ফাঁকি দেয় না, রয়্যালিটি সঠিক সময়ে পৌঁছে দেয়। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ইউপিএল বর্তমানে ইমেরিটাস প্রকাশনার পর্যায়ে চলে গেছে। ৪০ বছর ধরে দাপটের সঙ্গে গুণগত মানসম্পন্ন বই প্রকাশ করে যাচ্ছে। আশা করি, আগামী দিনগুলোতে এই প্রকাশনাটি মানের দিকে খেয়াল রেখেই বই প্রকাশ করবে এবং তরুণ লেখকদের উৎসাহ দেবে। ড. কামাল হোসেন বলেন, মহিউদ্দীন আহমেদ ইউপিএল প্রতিষ্ঠা না করলে অনেক লেখক হয়ত বই লেখার আগ্রহই হারিয়ে ফেলতেন। কারণ দেশে এখনও অনেক প্রকাশক আছেন, যারা সব বই প্রকাশ করতে চান না। তিনি শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন, আজ একে একে চল্লিশ বছরে পা দিয়েছে। ড. আকবর আলি খান বলেন, ইউপিএল প্রকাশনা শিল্পে একটি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। নিঃসন্দেহে তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রকাশক। একটি কথা না বললেই নয়, বই লেখায় লেখকের কৃতিত্ব যেমন, প্রকাশকের কৃতিত্বও কম নয়। অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, দেশে আগের তুলনায় এখন প্রচুর বই প্রকাশিত হচ্ছে। এর একটি বড় জোয়ার তৈরি করেছে একুশে বইমেলা, এতে অনেক আনন্দও হয়। কিন্তু এত সব বইয়ের ভিড়ে গুণমানহীন বইও প্রকাশিত হচ্ছে। অনেক প্রকাশনা আছে, যারা বই প্রকাশে কোন বাছবিচার করে না। ইউপিএল মানের ব্যপারে কোন ছাড় দেয়নি, এটা নিঃসন্দেহে বলতে পারি। এর আগে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে ইউপিএলের সম্প্রতি গৃহিত ‘এ্যাডপ্ট-এ-লাইব্রেরি প্রোগ্রাম’ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এছাড়া মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে একটি আলোচনার আয়োজন করা হয়। এ আলোচনার সঞ্চালনা করেন আইএলওর সাবেক পরামর্শক অর্থনীতিবিদ ড. রিজওয়ানুল ইসলাম। আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শায়ের গফুর, অধ্যাপক সৌরভ সিকদার, কথাসাহিত্যিক আন্দালিব রাশদী এবং লেখক ফিরোজ আহমেদ। অন্য আলোচকরা বলেন, একুশ শতকে চলতে হলে ইংরেজী শিখতে হবে। তবে এজন্য বাংলা ভুলে গেলে হবে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক গবেষণা হয়। যা সম্পূর্ণ ইংরেজীতে। এ মনোভাব পাল্টাতে হবে। আমরা গবেষণা করব বাংলায়। তা বিদেশে অনুবাদ করে পাঠাতে হবে। জাপানীরা মৌলিক শিক্ষায় মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে ক্রমান্বয়ে বিদেশী ভাষা সরিয়ে নিয়েছে। এখন অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তাদের মাতৃভাষায় পাঠদান করা হয়। অষ্টম শ্রেণী পর থেকে তারা বিদেশী শিক্ষা দেন। এতে করে শিক্ষা, গবেষণা তারা পিছিয়ে নেই। বরং অনেক ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। নীলফামারী থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, রবীন্দ্রনাথের গানের হাজারো ভক্তের অংশগ্রহণে নীলফামারী শহরের হাইস্কুল মাঠে তিন দিনব্যাপী জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিষদের সাঁইত্রিশতম বার্ষিক অধিবেশন/১৪২৪ মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিষদের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রীতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জেলা শহর হতে ১৫ কিলোমিটার দূরে বিরাট রাজার দিঘি নীলসাগর পারে। সেখানে কথনে ছিলেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সন্জীদা খাতুন। কোন বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই খালি গলায় তিনি এবং রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাও পর পর দুটি করে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে শোনান। এ সময় শান্তি নিকেতনের বিশ্বভারতীর ছাত্রী হিসেবে সেখানকার স্মৃতিচারণে তিনি বলেনÑনীলফামারীর নীলসাগরে এই প্রীতি সম্মেলনের আম ও কাঁঠালতলা বাগান দেখে মনে করিয়ে দেয় শান্তি নিকেতনের বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনের সেই আমতলাকে। প্রীতি সমাবেশে নুরলদীনের সারাজীবনের কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড. আতিউর রহমান, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয়পর্বের অধিবেশন বিকেলে শুরু হয় মূল অধিবেশনের মঞ্চে হাইস্কুল মাঠে। মানবিক সমাজ গঠন শিরোনামে শুরুতে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. আতিউর রহমান। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ও অধ্যাপক দেবীপ্রসাদ রায়। এরপর শুরু হয় সঙ্গীতা অনুষ্ঠান, আবৃত্তি ও নৃত্যানুষ্ঠান। হাই স্কুল মাঠে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যেমন প্রায় ৫০ হাজার দর্শক দেখা গিয়েছিল তেমনি দ্বিতীয় দিন শনিবার বিকেলেও সে রকম দর্শনই সমাগম দেখা যায়। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ। অভিনেতা, নির্দেশক ও আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধিবেশনের প্রতিটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন। উল্লেখ, দেশজুড়ে ৮৪টি সক্রিয় শাখা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ। সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮০ সালে। সে সময় এর নাম ছিল জাহিদুর রহিম স্মৃতি পরিষদ। শাখাগুলোকে উদ্বুদ্ধ করতে এক বছর ঢাকায় ও পরের বছর অন্য জেলায় সম্মেলনের আয়োজন করেন তারা। সম্মেলনের ৩৫তম অধিবেশন বসেছিল পটুয়াখালীতে। ৩৬ তম ছিল ঢাকায়। নিয়ম অনুযায়ী ঢাকার বাহিরের জেলা নীলফামারীতে ৩৭তম বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
×