ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র আছে ১৫টি, প্রয়োজন ১৬০টি

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১১ মার্চ ২০১৮

 দেশে ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র  আছে ১৫টি, প্রয়োজন ১৬০টি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা এখনও অপ্রতুল। চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধি পেলেও অপর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং মেডিক্যাল উপকরণ ব্যয়বহুল হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে ক্যান্সারের চিকিৎসা। সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সব রোগীকে চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। আড়ালে থেকে যায় আরও হাজার হাজার রোগী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, জনসংখ্যা অনুপাতে বর্তমানে দেশে সব ধরনের সুবিধাসংবলিত ১৬০টি ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র থাকা অপরিহার্য। কিন্তু বাংলাদেশে এখন এমন কেন্দ্রের সংখ্যা আছে মাত্র ১৫টি। ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে না পেরে অনেক ক্যান্সার রোগী অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বর্তমানে ক্যান্সার চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়ে মেডিক্যাল চিকিৎসকদের পাশাপাশি চিকিৎসা পদার্থবিদের প্রয়োজন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে ক্যান্সার চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। অধ্যাপক ড. হাসিন অনুপমা আজহারী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশস্থ নেপালের রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. থমাস ত্রুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টেও চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ, বিএমপিএস’র সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকি, বাংলাদেশ রেজিওলজি সোসাইটির মহাসচিব ডাঃ শাহরিয়ার নবী প্রমুখ। অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। চিকিৎসাসেবার দিক দিয়েও পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। তবে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার অবকাঠামোর আরও উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি দেশব্যাপী সম্প্রসারিত করাতে হবে। এই চিকিৎসার ব্যয় কীভাবে হ্রাস করান যায় তা নিয়ে ভাবতে গবেষণা করতে হবে। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সরকারী হাসপাতালগুলোতে এই রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে জনসংখ্যার তুলনায় তা অপ্রতুল। অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান খান বলেন, সীমিত সম্পদ নিয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। ক্যান্সার চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্র আরও বাড়ান দরকার। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করান গেলে ক্যান্সার রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যয়ও হ্রাস পাবে।
×