ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এসডিজি ও তথ্যপ্রযুক্তির সম্পর্ক

প্রকাশিত: ০৪:১১, ১১ মার্চ ২০১৮

এসডিজি ও তথ্যপ্রযুক্তির সম্পর্ক

দীর্ঘ আলোচনা ও গবেষণা শেষে ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ১৫ বছর মেয়াদী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করে যা সর্বমহলে এসডিজি (ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষং) নামে পরিচিত। ১৯৫টি সদস্য দেশের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে অগ্রাধিকারভিত্তিক ১৭টি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (যার নির্দেশিত লক্ষ্য মোট ১৬৯) গৃহীত হয়। উল্লেখ করা হয় যে, ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে হবে যাতে পৃথিবী একটি মানবিক, ক্ষুধা ও বৈষম্যহীন আধুনিক সমাজে বিকশিত হতে পারে। এই প্রধান ১৭টি লক্ষ্য হলো- ১. দারিদ্র্য বিলোপ, ২. ক্ষুধা মুক্তি, ৩. সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, ৪. মানসম্মত শিক্ষা, ৫. নারী পুরুষের সমতা, ৬. নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন, ৭. সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি, ৮. যথোচিত কর্ম ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, ৯. শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো, ১০. অসমতা হ্রাস, ১১. টেকসই নগর ও সমাজ, ১২. দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন, ১৩. জলবায়ু কার্যক্রম, ১৪. জলজ জীবন, ১৫. স্থলজ জীবন, ১৬. শান্তি ও ন্যায়বিচার কার্যকর প্রতিষ্ঠান ও ১৭. লক্ষ্য পূরণে অংশীদারিত্ব। এই লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের ধারণা স্বচ্ছ নয়। অনেকে মনে করেন এগুলো জাতিসংঘ নির্ধারণ করেছে ও জাতিসংঘই বাস্তবায়ন করবে। এই ধারণা ভুল। এই লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে হবে দেশগুলোকেই তার নিজস্ব কৌশল গ্রহণ করে যে, কারণে বাংলাদেশ সহ প্রায় সবগুলো দেশ এসডিজি বাস্তবায়নে নিজস্ব কৌশলপত্র গ্রহণ করেছে ও অনুসরণ করছে। জাতিসংঘ প্রতিশ্রুত যে দেশগুলোকে সে এসডিজি বাস্তবায়নে যথাসম্ভব আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে। এছাড়া প্রতিবছর জুলাই মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ তার সদর দফতরে এসডিজি অগ্রগতি পর্যালোচনা করে, বাংলাদেশ তাতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। এর ফলে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলো নিজেদের অগ্রগতি তুলনা করতে পারে ও ভুলত্রুটি বিবেচনা করে তা প্রয়োজনে নতুন করে গুছিয়ে নিতে পারে। এসডিজি বাস্তবায়ন কৌশলে বাংলাদেশের জন্য প্রায় সবগুলো লক্ষ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের বাস্তবায়নাধীন এই কৌশলগুলোর সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তির সম্পর্ক ও ভূমিকা কি তা নিয়েও জাতিসংঘ গবেষণা করেছে ও তার অঙ্গ সংস্থা আইটিইউ সম্প্রতি একটি নির্দেশক প্রকাশ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য এই নির্দেশকগুলো বিবেচনায় রাখা প্রয়োজনীয়। নিচে একটি তালিকার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক অংশগুলো তুলে ধরা হলো- ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ তার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে যে কর্ম কৌশল গ্রহণ করেছে আমাদের বিশ্বাস আইটিইউ প্রণীত এই বিবেচনাগুলো তাতে রাখা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এই বিষয়গুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। লেখক : পরিচালক, আমাদের গ্রাম উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্প [email protected]
×