ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শামির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

প্রকাশিত: ০৭:২১, ১০ মার্চ ২০১৮

শামির বিরুদ্ধে  হত্যাচেষ্টার মামলা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামি বড় রকমের গ্যাঁড়াকলেই আটকা পড়েছেন। তার সাবেক মডেল স্ত্রী আগেই নানাবিধ নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। সে কারণে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেয় এ পেসারকে। আর শুক্রবার শামির বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন, প্রতারণা ও হত্যাচেষ্টার মতো ভয়ানক অভিযোগ আনেন। কলকাতা পুলিশ হাসিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছে। সবমিলিয়ে ৭টি মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়েছে শামির বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ২৭ বছর বয়সী ভারতীয় ক্রিকেটার শামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী হাসিন জাহান। থানায়ও গিয়েছিলেন তিনি, তবে আনুষ্ঠানিক কোন মামলা করেননি। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় দলের প্রায় নিয়মিত সদস্য শামিকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেয় বিসিসিআই। শুক্রবার হাসিন মামলা দায়ের করেন যেখানে শামির পুরো পরিবারকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে। শামির বিপক্ষে অভিযোগগুলোই বেশি মারাত্মক। তার বিষয়ে হাসিন বলেছেন, ‘শামির ৫ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল ফুফুর ননদের মেয়ের সঙ্গে। তাকে বিয়ে করতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু পরিবারের শক্ত অবস্থানের জন্য সে বিয়েটা করতেই পারেনি। বিবাহ বহির্ভূত অনেক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করে সম্পর্ক স্থাপনও করেছে সে। আমি তার জন্য আমার মডেলিং ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়েছি, চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু সে উল্টো আমার সম্পদও দখলের প্রচেষ্টা চালিয়েছে সবসময়।’ সব মিলিয়ে ভারতীয় এই পেসারের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ‘বিষ খাইয়ে ও শারীরিক নির্যাতন’ করে হত্যা চেষ্টাও আছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসিনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শামির বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন (৩৯৮ এ), ইচ্ছাকৃতভাবে মারধর (৩২৩), খুনের চেষ্টা (৩০৭), ধর্ষণ (৩৭৬), অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন (৫০৬), ৩২৮ (বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা) এবং ৩৪ (অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চেষ্টা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাসিন জানান, শামি ও তার পরিবারের আরও কয়েকজন তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছেন। শামির বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও এনেছেন হাসিন। তিনি আরও বলেন, ‘সে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করেই আমাকে পরিত্যক্ত করার প্রচেষ্টা নিয়েছিল এবং আমার কাছ থেকে সব সম্পদের দলিলাদি ও বীমার কাগজপত্র কেড়ে নিয়েছে। গত দুই বছর ধরেই সে আমাকে ডিভোর্স দিতে চাপপ্রয়োগ করে আসছিল। কিন্তু আমি কোনভাবেই শেষ নিঃশ্বাসটুকু থাকা পর্যন্ত তাকে ডিভোর্স দেব না। তার বিরুদ্ধে আমার সব অভিযোগের প্রমাণ আছে এবং দ্রুতই তাকে আমি আদালতে টেনে আনব। আমি ৫ বছর সহ্য করেছি সবকিছু। তার পরিবারও আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে।’
×