ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতের নির্দেশেও ফুটপাথে মোটরসাইকেল ওঠা বন্ধ হয়নি

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১০ মার্চ ২০১৮

আদালতের নির্দেশেও ফুটপাথে মোটরসাইকেল ওঠা বন্ধ হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি ফুটপাথে মোটরসাইকেলের উঠে পড়া। কমেনি এর চালকদের বেপরোয়া ভাবও। এ্যাপসভিত্তিক মোটর সাইকেল সেবা চালু হওয়ার পর এ প্রবণতা বেড়েছে আরো বহুগুণ। এ বাস্তবতায় রাজধানীতে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার জন্যও অনেকেই আঙ্গুল তুলছেন মোটরসাইকেলের দিকে। আইন মানতে এবং মানুষকে আইন মানাতে বাধ্য করার কথা যাদের তারাই ভাঙছেন আইন। খোদ পুলিশ কর্মকর্তাদেরই যখন এই দশা তখন ফুটপাথে সাধারণ মোটরসাইকেল চালকেরা উঠবেন তা হয়তো নিয়মই হয়ে গেছে। যদিও দেশের সর্বোচ্চ আদালত বহু আগেই আদেশ দিয়েছেন ফুটপাথে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। এ জন্য ফুটপাথগুলোও তৈরি করা হচ্ছে বিশেষভাবে। হাঁটার জন্যই তৈরি করা হয় ফুটপাথ কিন্তু বাংলাদেশই হয়ত একমাত্র দেশ যে দেশে ফুটপাথে মোটরসাইকেল ঠেকাতে এরকম লোহার খুঁটির প্রয়োজন পড়ে। এরপরও যে ফুটপাথে উৎপাত থামছে না তা সবারই জানা। সাধারণ মানুষ জানান, তারা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাইক চালান। জ্যামের পড়লে তারা ফুটপাথে ওঠে পড়ে। এতে করে সাধারণ মানুষের যানচলাচলে ব্যাহত হয়। এসব কারণে নাভিশ্বাস ট্রাফিক পুলিশের। সম্প্রতি এ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা চালু হওয়ায় মোটর সাইকেল চালকেরা বাড়তি আয়ের আশায় দিনভর রাস্তায় থাকছেন, এ কারণে দুর্ঘটনাও বেড়েছে অনেকাংশে। ছোট এ যানটির কারণে সড়কে ধুকছে অন্যান্য যানবাহনের চালকেরাও। অন্য পরিবহনের চালকরা জানান, বাইক-চালকরা যেভাবে চালায়, এতে আমাদের সমস্যা হয়। ওদের কারণে আমাদের হার্ট ব্রেক করতে হয়। সিগনাল ছেড়ে দিলে মোটরসাইকেলগুলো ডান থেকে বাম দিকে ঢুকে পড়ে এতে আমাদের বেশ সমস্যা হয়। ট্রাফিকের উর্ধতন কর্মকর্তা বলছেন, মোটরসাইকেল চালকদের শৃঙ্খলায় আনতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন তারা। ট্রাফিক পুলিশ জানায়, আমরা সবাইকে সচেতন করে তুলছি।
×