ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বৈমানিক কামরুল ইসলাম

১২০০ ড্রোন দিয়ে আকাশ জয়

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১০ মার্চ ২০১৮

১২০০ ড্রোন দিয়ে আকাশ জয়

এবারের অলিম্পিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একশত বছরের পুরনো খেলার চিহ্ন বহনকারী অলিম্পিক রিং প্রদর্শনীতে যুক্ত হয়েছে হাইটেক প্রেজেন্টেশন। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়াং ইয়াং এ অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে ১২০০ স্বয়ংক্রিয় ড্রোন ব্যবহার করে ৫ (পাঁচ) রিংয়ের অলিম্পিক মডেল উপস্থাপনের মাধ্যমে বিশ্ব রেকর্ড করেছে ইন্টেল কোম্পানি। গত ডিসেম্বরে ইন্টেল কোরিয়ার আকাশে প্রথম একসঙ্গে তিনশত ড্রোন ব্যবহার করে মহড়া দেয়ার চিন্তা করে, কিন্তু শেষ মুহূর্তে অজানা কারণে তা ব্যর্থ হয়ে যায়। তবে ইন্টেল জানায় সন্ধ্যাকালীন মহড়ায় ড্রোনগুলো দিয়ে একটা পাখির উড়ন্ত ডানার মতো সেফ দেয়ার চেষ্টা করেছে। ইন্টেলের ড্রোনগুলো মূলত প্রপেলার এবং সেন্সর সংযুক্ত এলইডি লাইট দিয়ে তৈরি। তাদের ওজন এক পাউন্ডেরও কম। কম্পিউটারের সফটওয়ার ব্যবহার করে ড্রোনগুলোর ফ্লাইংয়ের স্থান এবং লাইটের পরিমাণ নির্ধারিত করেছে। ইন্টেল ড্রোন গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার জানান, ‘অলিম্পিক হচ্ছে সর্বোচ্চ জায়গা যেখান থেকে আকাশসীমা দেখা যায়। আমরা সেটাই করতে চাই যেটা বিশ্ববাসী এর আগে কখনও দেখেনি।’ এই মহড়ায় ড্রোন মনিটরিংয়ের জন্য মোট তিনজন লোক ছিল যা অলিম্পিক ভলিন্টিয়ারদের মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর একজন পাইলট হিসেবে ছিল যার কাজ ছিল একটা বোতাম চেপে স্বয়ংক্রিয় শোভাযাত্রার সূচনা করা। ইন্টেল কোম্পানি দর্শনার্থীদের সামনে তিন থেকে পাঁচ মিনিটের এই শোভাযাত্রার জন্য প্রতিদিন মহড়া চালিয়েছে। ইন্টেল কোম্পানি বিশ্বাস করে তাদের ড্রোন একদিন আকাশের ফায়ার ওয়ার্কসের প্রতিস্থাপক হবে, যা তারা ফিনল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মহড়া দিয়েছিল। ইন্টেলের এই বিশাল কর্মকান্ড এরই মধ্যে সারা দুনিয়ায় চমক সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রযুক্তির নিরলস গবেষণায় মানুষ আবিষ্কার করেছে ড্রোন। এই অদ্ভুত আবিষ্কার ড্রোন দিয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ড মানুষ পরিচালনা করেছে তা আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি। কিন্তু অলিম্পিক গেমসের মতো এই বিশাল কর্মকান্ডে ড্রোন যে এই রকম বিশেষ ভূমিকা রাখবে তা কখনও কেউ কল্পনা করেনি। এবারই প্রথম অলিম্পিক আসরে ভুবন মাতানো আলোকসজ্জায় ড্রোন বিশেষ কেরামতি দেখিয়েছে। অবাক করেছে সবার মন। অলিম্পিকের প্রাচীন লোগোটি ড্রোনের সাহায্যে আকাশে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেন মনে হচ্ছে নক্ষত্রের আলোকছটা।
×