ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীর ইস্যুতে ইসলামাবাদের অভিযোগের জবাবে নয়াদিল্লী

পাকিস্তান ‘বিশেষ সন্ত্রাসী এলাকা’ ॥ জাতিসংঘে ভারতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১০ মার্চ ২০১৮

পাকিস্তান ‘বিশেষ সন্ত্রাসী এলাকা’ ॥ জাতিসংঘে ভারতের অভিযোগ

ভারত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে ‘বিশেষ সন্ত্রাসী এলাকা’ বলে অভিহিত করেছে। এর আগে ভারত পাকিস্তানকে ‘টেরোরিস্টান’ ও ‘সন্ত্রাসের আইভি লিগ’ বলেও মন্তব্য করেছিল। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে (ইউএনএইচআরসি) জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর মানবাধিকার নিয়ে পাকিস্তান অভিযোগ করার জবাব নয়াদিল্লী ওই মন্তব্য করে। টাইমস অব ইন্ডিয়া। ইউএনএইচআরসিতে নিযুক্ত ভারতের দ্বিতীয় সচিব মিনি দেবী কুমাম বলেছেন ‘সীমান্তের ওপর থেকে সন্ত্রাসী পাঠানো বন্ধ করা, বিশেষ সন্ত্রাস এলাকা নির্মূল করা, সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ভেঙ্গে দেয়া এবং এ বিষয়ে আর্থিক সহায়তা বন্ধের মতো বাস্তবে নিরূপণযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানাতে আমরা কাউন্সিলকে অনুরোধ করছি।’ কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ রকম অভিযোগ ওঠার পর ইউএনএইচআরসিতে ভারত পাল্টা জবাব দিয়েছে। কুমাম বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে মূল সমস্যা সন্ত্রাস। সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান ও তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা (পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর) থেকে পুরোপুরি সহযোগিতা পাচ্ছে। জেনেভায় ইউএনএইচআরসির ৩৭ তম অধিবেশনে তিনি ওই মন্তব্য করেন। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান এখন টেরোরিস্টান। এটি এখন সেদেশের বিকাশমান শিল্প। বিদেশেও তারা এগুলো রফতানি করছে’। এরও প্রায় ঠিক এক বছর আগে ভারত পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের আইভি লিগ’ বলে মন্তব্য করেছিল। ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিভিন্ন জঙ্গী গ্রুপকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য নয়াদিল্লী ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এনেছিল। বৃহস্পতিবার মিনি দেবী কুমাম অভিযোগ করেন, ইউএনএইচআরসি প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করা পাকিস্তানের একটি অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটি জম্মু ও কাশ্মীরের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে অন্যদের বিভ্রান্ত করে থাকে। তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলের এটি মনে রাখা উচিত এই অভিযোগ এমন দেশের কাছ থেকে এসেছে যে দেশে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়ে থাকে। বেলুচিস্তান, সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এটি নিয়মিত ঘটনা। পাকিস্তান একদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে অন্যদিকে মানবাধিকারের জন্য মায়াকান্না দেখাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাস রফতানির মাধ্যমে পাকিস্তান ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। সন্ত্রাস সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাস বন্ধ করার মাধ্যমে পাকিস্তানের উচিত সেখানকার লোকজনকে মুক্তি দেয়া। এছাড়া দেশটি ব্লাসফেমি আইনের মাধ্যমেও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে কুমাম অভিযোগ করেন। এর মধ্য দিয়ে সংখ্যালঘু ও ভিন্ন মতাবলম্বীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
×