ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ ব্যর্থ

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১০ মার্চ ২০১৮

 ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ ব্যর্থ

ইয়েমেন বর্তমান সঙ্কটের বিষয়ে জাতিসংঘকে চরম ও অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্তভাবে ব্যর্থ বলে অভিহিত করেছে একটি মানবাধিকার গ্রুপ। গ্রুপ বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদ প্রভুত্ব প্রদর্শনকারী কয়েকটি দেশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইয়েমেন প্রেস। হিউম্যান রাইটস ফর ইয়েমেনের পরিচালক কিম শরিফ ইংরেজী ভাষী আরটি টেলিভিশন নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেছেন, জাতিসংঘ ইয়েমেন ও সংশ্লিষ্ট অন্য অনেক দরিদ্র দেশগুলোর ব্যাপারে চরম ও অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত এক ব্যর্থতা নিয়ে এসেছে। এ সংস্থা কম বেশি নিরাপত্তা পরিষদের কর্তৃত্বে রয়েছে এবং নিরাপত্তা পরিষদ নিজে তিনটি বিশিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রের প্রভাবাধীন। এ দেশগুলো রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে প্রত্যেককে ভীতি প্রদর্শন করে এবং আমরা সবাই তা জানি। তিনি বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আনুকূল্য ও সহযোগিতাপ্রাপ্ত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করছে এবং গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও এর সহযোগীরা ইয়েমেনের বিরুদ্ধে তিন বছর ধরে সাময়িক আগ্রাসনে প্রতিটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে চলেছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত এ আরব দেশটিতে পৃথক সৌদি বিমান হামলায় ৮ ইয়েমেনী বেসামরিক নাগরিক নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার একদিন পর তিনি এ মন্তব্য করলেন। সৌদি আরব জনপ্রিয় হুতি আনসারুল্লাহ আন্দোলন নস্যাত করতে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মনসুর হাদিকে ক্ষমতায় পুনর্বহালের জন্য ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনে অবিরামভাবে বোমাবর্ষণ করে চলেছে। মনসুর হাদি রিয়াদ প্রশাসনের একনিষ্ঠ সমর্থক। ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৩ হাজার ৬শ লোক নিহত হয়েছে। এ যুদ্ধে আরব উপদ্বীপের এ দেশটির হাসপাতাল, স্কুল ও কারখানাসহ অনেক অবকাঠামোর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, ২ কোটি ২২ লাখ মানুষের এখন খাদ্য সাহায্যের প্রয়োজন এবং ৮৪ লাখ মানুষ মারাত্মক খাদ্য সঙ্কটের হুমকিতে রয়েছে। জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ এক ত্রাণ কর্মকর্তা সম্প্রতি ইয়েমেনে এ বিপর্যয়কর পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেখানে দুর্ভিক্ষ ও কলেরা দেখা দেয়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। জাতিসংঘের ত্রাণ তৎপরতা বিষয়ক পরিচালক জন জিং মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, তিন বছরের সঙ্ঘাতে ইয়েমেনে পরিস্থিতি বিপর্যয়কর হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, জনগণের জীবন কেবলই নাজুক পরিস্থিতিতে চলে যাচ্ছে। নবেম্বর থেকে সঙ্ঘাত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রায় ১ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। জিং বলেন, ইয়েমেনে গত এপ্রিল থেকে প্রায় ১১ লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে।
×