ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাজিতা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৭:১০, ৯ মার্চ ২০১৮

 অপরাজিতা প্রতিবেদক

প্রশ্ন : আমরা পাঁচজন বন্ধু মিলে শেয়ারে একটি ফাস্টফুডের দোকান দেই। অন্য বন্ধুরা যার যার ব্যক্তিগত সার্ভিস নিয়ে ব্যস্ত থাকাতে দিনের বেশিরভাগ সময় আমিই সবকিছু দেখাশোনা করি। বন্ধুরা অফিস শেষে পাঁচটার পর ছয় বা সাতটা পর্যন্ত থেকে এসে আমার সঙ্গে যোগদান করে। এভাবেই গত তিন বছর ধরে ব্যবসা ভালই চলছিল এবং আমরা বড় বড় অফিসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাবার সাপ্লাই দেয়ার কাজও করে থাকি। হঠাৎ করে গত জানুয়ারি মাসে বাৎসরিক হিসাবের খাতায় প্রায় আড়াই লাখ লাখ টাকার মতো হিসাবে গরমিল দেখা যায়। হয়ত কখনও কেউ টাকাটার হিসাব ভুল করে তোলেনি। অন্য তিন বন্ধু স্বাভাবিকভাবে ভুল বলে মেনে নিলেও আমাদের একজন পার্টনার বন্ধু ভুল বলে মেনে নিতে নারাজ এবং আমার নামে আশপাশে যে সমস্ত দোকান রয়েছে, তাদের সঙ্গে আমার নামে বদনাম রটাচ্ছে, টাকাটা আমি সরিয়েছি। কিন্তু আমি জানি টাকাটা আমি নেইনি। এখন আমি কি করতে পারি? উত্তর : আপনারা পাঁচজন পার্টনার মিলে সবাই এক সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটি যদি মিটিয়ে নেন, তাহলে আপনাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাবে আর যদি অন্তরের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকে, তাহলে আপনাদের প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে পড়বে। আপনারা সবাই মিলে বসে কেউ কাউকে দোষারোপ না করে ঠান্ডা মাথায় হিসাবের খাতাটি আবার মিলিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন, দেখুন কোথায় ভুল হয়েছে। তবে আপনার নামে মানহানিকর বক্তব্য আশপাশে দেয়া হয়েছে, তার জন্য ঞযব চবহধষ পড়ফব ১৮৬০-এর অধীন মানহানির মামলা করতে পারেন। ধারা ৪৯৯ অনুসারে, কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তির খ্যাতি বা সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে বা তার খ্যাতি বা সুনাম নষ্ট হবে বলে জানা সত্ত্বেও বা তার বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও কথিত বা পঠিত হওয়ার জন্য অভিপ্রেত কথা বা চিহ্ন কর্তৃক বা দৃশ্যমান কল্পমূর্তির সাহায্যে সে ব্যক্তি সম্পর্কিত কোন নিন্দাবাদ প্রণয়ন বা প্রকাশ করে, তবে সে ব্যক্তি উক্ত ব্যক্তির মানহানি করেছে বলে পরিগণিত হবে। ধারা ৫০০ অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তির মানহানি করে তবে উক্ত ব্যক্তি দুই বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদন্ড বা অর্থদন্ডে বা উভয়বিধ দন্ডেই দন্ডিত হবে। তবে মানহানি হয়েছে এটা আদালতে অবশ্য প্রমাণ করতে হবে।
×