ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৯ মার্চ ২০১৮

ঝলক

তিনি ছিলেন ব্রিটিশ গুপ্তচর! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে দখলকৃত ফ্রান্স থেকে কোড করা গোপন বার্তা পাঠাতেন হেলেন টেইলর টম্পসন। সেখানে ছোটখাটো কোন ভুল হলেই হয়ত সেটা কারও জীবনকে বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারত। যুদ্ধের এতকাল পরেও সে সময়ের সব কথাই এখনও গোপনে নিজের মধ্যে বয়ে বেড়াচ্ছেন সে সময়ের গুপ্তচর ৯৩ বছরের এই ব্রিটিশ নারী। টেইলর বলেন, ‘আপনি যা দেখেছেন বা যা করেছেন, সেটা নিয়ে যদি কখনও কারও কাছে কিছু বলেন, সেটা দেশদ্রোহিতা বলে বিবেচিত হবে, হয়ত আপনাকে তার জীবন দিয়েই তার মূল্য দিতে হবে।’ ১৯ বছর বয়সে অফিসিয়াল সিক্রেটস এ্যাক্টে স্বাক্ষর করেন তিনি। তখনকার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের ‘গোপন আর্মি’ বলে পরিচিত বাহিনীর সদস্য ছিলেন টেইলর। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, আমি তাদের সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আমি তাদের পোশাকও পছন্দ করতাম না। আমি জানতাম না, ফ্রান্সে তারা কি ধরনের স্যাবোটাজের কাজকর্ম করছে।’ স্পেশাল অপারেশন এক্সিকিউটিভ নামের একটি গোপনবাহিনী তৈরি করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, যাদের কাজ ছিল গোপনে জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করা আর ধ্বংসাত্মক অভিযান চালানো। তিনি বলছেন, ‘আমার কাজ ঠিক বিপজ্জনক ছিল না, কিন্তু আমাকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হত। কারণ আমার সামান্য একটি ভুলে কারও জীবন বিপদে পড়তে পারত।’ টেইলর চান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নারীরা যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, তা যেন স্মরণীয় করে রাখা হয়। তিনি বলেন, ‘যারা সেখানে গেছে, তাদের অনেককে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, অনেকে আর কখনও ফিরে আসেনি।’ সাহসিকতার জন্য জর্জ ক্রস পদক পেয়েছেন। জার্মান দখলকৃত ফ্রান্স গুপ্তচরদের কাছে গোপন বার্তা পাঠাতেন টেইলর। এদের মধ্যে অন্তত ৩০জন ছিলেন নারী, যারা শত্রু এলাকায় গোপনে কাজ করতেন। তিনি বলেন ‘তারা চাইতেন, আমরা জার্মান লাইন অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকি। আমরা রাজি হয়েছিলাম। এরপর আমরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছি, কিন্তু কিছুই ঘটেনি। পরে শুধু পুরুষদেরই সম্মুখযুদ্ধে পাঠানো হয়, কিন্তু আমরাও লড়াই করতে চেয়েছিলাম।’ যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পূর্ব লন্ডনে একটি ছোট হাসপাতাল চালাতেন হেলেন টেইলর। কিন্তু সরকারের ব্যয় সংকোচনে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জীবনের প্রান্ত সীমায় থাকা মানুষজনের জীবন আরেকটু আরামদায়ক করতে ইউরোপের প্রথম দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি তিনি চালু করেন। এখনও তিনি সেখানেই কাজ করছেন।-বিবিসি। . হাজার বছরেও নষ্ট হবে না ভাবুন তো, ১০ হাজার বছর একটানা সঠিক সময় বলে দেবে একটি ঘড়ি। অদ্ভুত বিষয় তাই না? এমন এক ঘড়ি তৈরির কাজ চলছে। উদ্যোক্তা বলছেন, ঘড়িটি ১০ হাজার বছরেও নষ্ট হবে না। বিখ্যাত অনলাইন প্রতিষ্ঠান আমাজনের উদ্যোক্তা ও সিইও জেফ বেজোস অদ্ভুত এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। তিনি বিশাল এক ঘড়ি নির্মাণের কাজে বিনিয়োগ করেছেন। ঘড়ি নির্মাণে বেজোসকে খরচ করতে হচ্ছে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর কিছু ফুটেজ টুইটারে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সাড়া জাগে মানুষের মনে। টেক্সাসের সিয়েরা ডায়াবলো মাউন্টেনের ভেতর ৫০০ ফুট দীর্ঘ এই বিশাল ঘড়ির নির্মাণ কাজ চলছে। প্রতিদিন দর্শণার্থীরা পাহাড়ের ভেতর ফাঁকা অংশে গিয়ে এই ঘড়ির বিশাল ঘণ্টার শব্দ শুনতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় নয়, বরং প্রতিদিন একবার করে শব্দ শোনা যাবে। প্রযুক্তিবিদরা এমন উপায়ে ঘড়িটি নির্মাণ করছেন, যাতে পৃথিবীর থারমাল চক্রের মাধ্যমে শক্তি পেয়ে চলমান থাকবে ঘড়িটি। ১০ হাজার বছর ধরে ঘড়ির ঘণ্টা পৃথক শব্দ করবে, প্রযুক্তিগতভাবে সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে এই ঘড়ি। ঘড়িটি নির্মাণের জন্য ১৯৮৯ সাল থেকেই ভাবছিলেন নির্মাতা ড্যানি হিলস। জেফ বেজোস এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হন ২০১১ সালে। ঘড়িটি স্টেইনলেস স্টিল, টাইটেনিয়াম ও সিরামিক বল বিয়ারিং দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। পাথরের পাহাড় কেটে এই ঘড়ি নির্মাণের বিষয়টা মিসরের পিরামিড নির্মাণের মতো অনেকটা। হাজার হাজার বছর পর যেন মানুষ এই বিশেষ ঘড়ি দেখে সময় জানতে পারে, সেটাই মূল লক্ষ্য।-ইয়াহু নিউজ।
×