ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রিমান্ডে জাফর ইকবালকে হত্যা চেষ্টাকারী ফয়জুর

আনসারুল্লাহর ‘দাওয়া ইলাল্লাহ’ গ্রুপের নির্দেশে হামলা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৯ মার্চ ২০১৮

আনসারুল্লাহর ‘দাওয়া ইলাল্লাহ’ গ্রুপের নির্দেশে হামলা

শংকর কুমার দে ॥ বিশিষ্ট লেখক ও সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টায় হামলার সময়ে গণপিটুনিতে আহত অবস্থায় আটক ফয়জুল হাসান ওরফে ফয়জুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত থেকে ১০ দিনের রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনেই বৃহস্পতিবার ফয়জুর বলেছে, জাফর ইকবালকে হত্যার জন্য ‘দাওয়া ইলাল্লাহ’ নামে উগ্রবাদী ফোরামের বা গ্রুপের নির্দেশে হামলা করেছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অনলাইন ভিত্তিক দাওয়া ইলাল্লাহ নামের ফোরামটিতে তার সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হতো সহযোগীরা। এর মধ্যে সুমন নামে এক সহযোগীকে খুঁজছে, যার সঙ্গে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। সুমন ছাড়াও এনামুল হাসান নামে হামলাকারী ফয়জুলের এক ভাইকেও পুলিশ খুঁজছে, যে ফয়জুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ট্যাব নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। মোবাইল ফোন ও ট্যাবটি উদ্ধার করার জন্য হামলকারীর ভাই এনামুলকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। হামলার কয়েকদিন আগে সিলেটের জিন্দাবাজারের আল-হামরা মার্কেটের একটি দোকান থেকে আল হামরা মার্কেট থেকে কমান্ডো নাইফটি কিনেছিল ফয়জুল। ফয়জুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টায় হামলার বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। দেশজুড়ে আলোচিত এই ঘটনাটির রহস্য উন্মোচনে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পাশাপাশি, র‌্যাব, সিআইডি, পিবিআই এবং ঢাকার কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট একযোগে কাজ করছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে দাওয়া ইলাল্লাহ নামে একটি উগ্রবাদী ফোরামের নির্দেশনায় লেখক ও অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা করেছে বলে স্বীকার করেছে হামলাকারী ফয়জুল। জাফর ইকবালকে হত্যা করা নিয়ে ওই গ্রুপে বা ফোরামে নিয়মিত আলোচনাও হতো বলে জানিয়েছে সে। ওই গ্রুপ বা ফোরাম থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর ফয়জুল সিলেটের মদিনা মার্কেটের একটি জিমে শারীরিক প্রশিক্ষণের জন্যও ভর্তি হয়েছিল। শারীরিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল কীভাবে হামলা করতে হবে এবং কোথায় আঘাত করলে দ্রুত মৃত্যু হতে পারে, দাওয়া ইলাল্লাহ ফোরামে সেসব কৌশল নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল। জাফর ইকবালকে হত্যার জন্য হামলার চূড়ান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর সিলেটের জিন্দাবাজারের আল-হামরা মার্কেটের একটি দোকান থেকে কমান্ডো নাইফটি (চাকু) কেনে ফয়জুল। সিলেটে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুল হাসান ওরফে শফিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নেমেছে, র‌্যাব, সিআইডি, পিবিআই এবং ঢাকার কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থা। ১০ দিনের রিমান্ডে হামলাকারী ফয়জুল ॥ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টায় হামলাকারী ফয়জুল হাসানকে বৃহস্পতিবার সিলেটের মহানগর হাকিম হরিদাশ কুমারের আদালতে হাজির করা হয়। তাকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান সিলেটের জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। রিমান্ড শুনানি শেষে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিলেটের মহানগর আদালতের হাকিম হরিদাশ কুমার। জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্য যে হামলা করা হয়েছে সেই বিষয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় যে মামলা হয়েছে সেই মামলায় বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ফয়জুল হাসান ওরফে ফয়জুরকে। গত ৩ মার্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ছুরি নিয়ে অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালায় মাদ্রাসা ছাত্র ফয়জুল। ঘটনার পরপরই তাকে ধরে পিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। র‌্যাবের তত্ত্বাবধানে প্রথমে রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল ও পরে সিলেটের জালালাবাদ সিএমএইচে চিকিৎসা দেয়ার পর ফয়জুলকে পুলিশে সোপর্দ করে র‌্যাব। পরে পুলিশ তাকে ভর্তি করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় ফয়জুলসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে গত ৪ মার্চ সিলেটের জালালাবাদ থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থানের কারণে অধ্যাপক জাফর ইকবালকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে অনেকবার। এ কারণে তাকে পুলিশী নিরাপত্তা দেয়া হলেও তার মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটায় সারাদেশে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে হামলাকারী ফয়জুল হাসান বলেছে, সে মনে করে জাফর ইকবাল ‘ইসলামের শত্রু’। এ কারণেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সে হামলা করেছে। হামলাকারী ফয়জুল হাসান নিজেই জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ (সেলফ রেডিক্যালাইজড) হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী। প্রশিক্ষণ নিয়েছে ও চাকু কিনেছে হত্যার উদ্দেশ্যে ॥ তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ডে নেয়ার পর ফয়জুল হাসান ওরফে ফয়জুর জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, ইসলামের শত্রু জাফর ইকবালের ওপর হামলা করার জন্য দাওয়া ইলাল্লাহ নামে একটি উগ্রবাদী ফোরামের নিয়মিত আলোচনাও হতো। দাওয়া ইলাল্লাহ নামে ফোরামের নির্দেশনায়ই জাফর ইকবালের ওপর হামলা করার জন্য সিলেটের মদিনা মার্কেটের একটি জিমে শারীরিক প্রশিক্ষণের জন্যও ভর্তি হয়। জাফর ইকবালের ওপর কীভাবে হামলা করতে হবে এবং কোথায় আঘাত করলে দ্রুত মৃত্যু হতে পারে দাওয়া ইলাল্লাহ ফোরামে সেসব কৌশল নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল। জাফর ইকবালের ওপর হামলার চূড়ান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলেটের জিন্দাবাজারের আল-হামরা মার্কেটের একটি দোকান থেকে কমান্ডো নাইফটি (চাকু) কেনে ফয়জুল হাসান ওরফে ফয়জুর। ফয়জুলের সঙ্গে আরও কে কে ছিল ॥ তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, ফয়জুলকে জিজ্ঞাসাবাদে এ পর্যন্ত যে ধারণা পাওয়া গেছে তাতে তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল। কিন্তু সে মুখ খুলতে চাইছে না। সে একাই জাফর ইকবালকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে দাবি করছে বলেও তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। তবে সে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তার মধ্যে হামলাকারী ফয়জুলের কোথায় কোথায় বিচরণ ছিল, কোথা থেকে সে কমান্ডো নাইফ কিনেছে, কখন কীভাবে পরিকল্পনা করেছে, এসবের কিছু কিছু তথ্য জানা গেছে। তার সহযোগীদের শনাক্ত করাসহ গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। হামলার পরপরই ফয়জুলকে আটক করে গণপিটুনি দেন শিক্ষার্থীরা। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব। হামলার একদিন পর র‌্যাব ফয়জুলকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ ও ঢাকার সিটিটিসির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বৃহস্পতিবার রিমান্ডে নেয়ার পর পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থা। পুলিশ সদর দফতর থেকেও সরাসরি বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। জঙ্গী সংগঠনের ওয়েবসাইট দাওয়া ইলাল্লাহ ॥ তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, দাওয়া ইলাল্লাহ হলো বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং আনসার আল ইসলামের একটি অনলাইন ফোরাম। যেখানে নির্দিষ্ট আইডির মাধ্যমেই কেবল প্রবেশ করা যায়। বিভিন্নভাবে পরীক্ষিত লোকজনই এই ফোরামের আলোচনায় যুক্ত হতে পারে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম বা আনসার আল ইসলামের যেসব সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও দাওয়া ইলাল্লাহ ফোরামের মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের কথা স্বীকার করেছে। বিভিন্ন সময়ে দাওয়া ইলাল্লাহসহ অনেক গ্রুপ এবং ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। তারপরও কিভাবে ওই ধরনের ওয়েবসাইডের মাধ্যমে জঙ্গীবাদ প্রচার ও জঙ্গীবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে তা নিছের প্রশ্ন উঠেছে। রিমান্ডে নেয়ার পর ফয়জুল জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, সে দাওয়া ইলাল্লাহ নামে একটি ফোরামের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ওই ফোরামে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নাস্তিক আখ্যায়িত করে তাকে কীভাবে হত্যা করা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতো। ফয়জুল নিজে থেকে জাফর ইকবালকে হত্যার দায়িত্ব নেয়। এরপর জাফর ইকবালকে কীভাবে হত্যা করা হবে, দাওয়া ইলাল্লাহ ফোরামে ফয়জুলকে সেসব বিষয়ে ভার্চুয়াল আলোচনার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ফয়জুলকে শেখানো হয় মাথা এবং ঘাড়ের পেছনে আঘাত করতে হবে। তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই টার্গেট মৃত্যু হবে। প্রশিক্ষণ অনুযায়ী সে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়েই কমান্ডো নাইফ নিয়ে আঘাত করেছিল। নিয়মিত জিম করেছে ফয়জুল ॥ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্য হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আগে গত এক মাস ধরে নিয়মিত জিম করত ফয়জুল। এজন্য দাওয়া ইলাল্লাহ ফোরামের নির্দেশনা অনুযায়ী জাফর ইকবালকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে প্রথমে রেকি করা শুরু করে সে। বিভিন্ন সময়ে সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করত। ফোরামের নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেটের স্থানীয় মদিনা মার্কেটের জিম ক্রাফটে ভর্তি হয়েছিল সে। শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গত বছরে আগস্ট মাসে জিমে ভর্তি হয় ফয়জুল। কে এই সুমন ॥ ফয়জুলের কয়েকজন সহযোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এছাড়া সুমন নামে ফয়জুলের এক সহকর্মীও পলাতক। সুমনের সঙ্গে ফয়জুল তার বোনের বিয়ে দিতে চেয়েছিল। সেও জঙ্গীবাদ ভাবাদর্শের অনুসারী হতে পারে। ফয়জুল আটক হওয়ার পর থেকেই সুমন উধাও হয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। ভাই এনামুল হাসানও পলাতক ॥ হামলাকারী ফয়জুল হাসানের ভাই এনামুল হাসান পলাতক। তাকে খুঁজছে পুলিশ। পলাতক এনামুলের কাছে ফয়জুলের ব্যবহৃত সব ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো রয়েছে। ফয়জুলের ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ভিভাইসগুলো খোঁজা হচ্ছে। জাফর ইকবালের ওপর হামলার পরপরই ফয়জুলের ভাই এনামুল ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো নিয়ে পালিয়ে গেছে। এনামুলের কাছে ফয়জুলের একটি মোবাইল এবং একটি ট্যাব রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ফয়জুলের ব্যবহৃত ট্যাবের মাধ্যমেই সে যোগাযোগের সিক্রেট এ্যাপস টেলিগ্রাম এবং দাওয়া ইলাল্লাহ ফোরামে যুক্ত ছিল। আল-কায়েদা ও আইএসের ভিডিও ॥ তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, তারা ফয়জুলের ব্যবহৃত একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধারের পর ঘেঁটে দেখেছেন। সেখানে আল-কায়েদা এবং আইএসের নানারকম ভিডিও, ইরাক-সিরিয়ার ভিডিওসহ নানারকম জঙ্গীবাদী প্রপাগান্ডা প্রচারণার উপাদান পাওয়া গেছে। তবে এসব উপাদান অন্য জায়গা থেকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফয়জুল ট্যাবের মাধ্যমে এসব কিছু ডাউনলোড এবং সব যোগাযোগ স্থাপন করত বলে তদন্তকারীদের দাবি।
×