ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২০ মার্চ ১৪ দলের গণজমায়েত

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ৯ মার্চ ২০১৮

 ২০ মার্চ ১৪ দলের গণজমায়েত

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিশিষ্ট লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে আগামী ২০ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। এ ছাড়া আগামী ৩০ মার্চ রংপুরে এবং পর্যায়ক্রমে সিলেট ও যশোরে অনুরূপ কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানম-িস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে এসব কর্মসূচী ঘোষণা করেন জোটের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, জাফর ইকবালের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ১৪ দল। কোন অশুভ শক্তির ইঙ্গিতে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা মনে করেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ভ-ুল ও রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করতেই বিএনপি-জামায়াতের অশুভ তৎপরতা শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবেই অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর জঙ্গীদের দিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। ২০১৪ সালের মতো তারা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। ঘোষিত গণজমায়েত কর্মসূচীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান মোহাম্মদ নাসিম। এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনের ঘোষণার মধ্যেই সন্দেহ হয় তাদের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ হবে কী না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোন সমঝোতা হতে পারে না। এ দিকে মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মৃত্যুতে ১৪ দলের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন মোহাম্মদ নাসিম। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও ভাল আছেন, সেখানে বসে দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক করে ফেলেছেন। এর জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানান উচিত। তিনি বলেন, আমার জানা মতে জেলখানাতে এ রকম বৈঠক হতে শুনিনি, এ দেশে এভাবে জেলখানায় দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক এই প্রথম। বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় ১৪ দলের বেশ কয়েকজন শরিক দলের নেতা কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সুযোগ করে দেয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জবাবে জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়তো উদারতা দেখিয়ে বিএনপির নেতাদের একসঙ্গে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিয়েছেন। তাই হয়তো তারা সভা করার সুযোগ পেয়েছে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিশিষ্ট লেখক-শিক্ষাবিদ জাফর ইকবালের ওপর এই হামলার ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করে জঙ্গীগোষ্ঠী এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এ বিষয়ে সরকারকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। অনেকেই নানাভাবে জঙ্গীবাদকে উস্কে দিচ্ছে। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এর আগে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ১৪ দলের বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাসদের (একাংশ) সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতিম-লীর সদস্য এজাজ আহমেদ মুক্তা, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডাঃ ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদত হোসেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
×