ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রীতম টাওয়ারে অনলাইন জুয়ার আসর সিলগালা

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ৯ মার্চ ২০১৮

 প্রীতম টাওয়ারে অনলাইন  জুয়ার আসর সিলগালা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে পল্টনের প্রীতম জামান টাওয়ারে অবৈধভাবে চলা ক্যাসিনো নামের অনলাইন জুয়ার আসর সিলগালা করে দিয়েছে পুলিশ। চক্রটি যাতে আর জুয়ার আসর চালাতে না পারে এ জন্য নজরদারি চলছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বরাবর চিঠি দিয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানের নেপথ্য কারিগরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক শীর্ষ ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন দেলুর বিষয়ে সন্ধান চলছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান, প্রীতম টাওয়ারের ক্যাসিনো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুইটি ফ্লোর সিলগালা করা হয়েছে। ফের যাত্রে চক্রের সদস্যরা ক্যাসিনোটি চালু করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। জানা গেছে, ডিএমপি সদর দফতরের নির্দেশনায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের ৩৭/২ প্রীতম জামান টাওয়ারের ১৩ ও ১৪ তলার ক্যাসিনো বন্ধ করে দেয়া হয়। যদিও ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন দেলু জানান, পুলিশের নির্দেশে তিনিই ক্যাসিনোটি বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপর পুলিশ তার লাগানো তালার ওপর আরও তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তিনি সব জুয়ার আসর বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেন। গত বছরের ৬ অক্টোবর প্রীতম জামান টাওয়ারের ১৪ তলায় অনলাইন ক্যাসিনো বসান হয়। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও ফিলিপিন্সের নাম করা ক্যাসিনোর সঙ্গে সার্ভার লিঙ্কের মাধ্যমে সরাসরি এই খেলা চালানোর মিথ্যা প্রলোভন দেয়া হতো জুয়াড়িদের। কিন্তু বাস্তবে সফটওয়্যার কারসাজির মাধ্যমে মালয়েশিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো সব কিছু। জানা গেছে, প্রথমে ১৪ তলায় ৪৯টি ও পরে ভবনটির ১৩ তলায় আরও ৩৬টি কম্পিউটার বসায় চক্রটি। ১৩ তলায় ভিআইপিরা জুয়া খেলত। আরও ২৬টি কম্পিউটারে বিশেষ শ্রেণীর লোকজন জুয়া খেলত। চব্বিশ ঘণ্টা চলত জুয়া। জুয়ার সঙ্গে চলত মাদক সেবন। দেলোয়ার হোসেন দেলুসহ বাংলাদেশের কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে ট্যুরিস্ট ভিসায় আসা চীনা বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার চার নাগরিক ইয়ং উইং হং, টং খা চিয়ান, কক উইং পিং এবং লাও ফুক চিংকে এটি নিয়ন্ত্রণ করতেন। অবৈধভাবে রোজগার করা টাকার মধ্যে অন্তত ১০ কোটি টাকা মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করা দেলোয়ার হোসেন পাচার করে দিয়েছেন। ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনে বিশেষ এ্যাপসের মাধ্যমেও এই জুয়া চলত। তবে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছেন।
×