ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ বছর চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা নেই ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ৯ মার্চ ২০১৮

এ বছর চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা নেই ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহামারী তো দূরের কথা, এ বছর চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কাই নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, সামনে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মৌসুম আছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা মশা এবং মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। জরিপ প্রতিবেদনে এ বছর ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কামুক্ত রয়েছে রাজধানী। সরকারী উদ্যোগে মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে বাসাবাড়ি মশামুক্ত রাখার দায়িত্ব বাসায় বসবাসরত পরিবারকেই নিতে হবে। আর এ বিষয়ে চালাতে হবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি, স্বাস্থ্যসচিব (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) মোঃ সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) ফয়েজ আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ প্রমুখ। জরিপ উপাত্ত উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ সানিয়া তাহমিনা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে বাংলাদেশ। গত এক বছর ধরে দেশে চিকুগুনিয়া ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নানা কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে সরকারের পাশাপাশি নগরবাসীকেও তৎপর থাকতে হবে। সরকারী কর্মীদের পক্ষে বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে ঘন ঘন মশক নিধন কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই বাসাবাড়ি মশামুক্ত রাখার দায়িত্ব বাসায় বসবাসরত পরিবারকেই নিতে হবে। জরিপের প্রতিবেদন তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ সানিয়া তাহমিনা বলেন, সম্প্রতি রাজধানীতে মশার গতিবিধি ও উপদ্রবের ওপর একটি প্রাক মৌসুম জরিপ পরিচালনা করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। জরিপ প্রতিবেদনে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বাহিত মশার তেমন উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। নগরীর ৯৭ শতাশই এনোফিলিস মশা, যা চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর জন্য দায়ী নয়। তিনি বলেন, মশার কামড় থেকে বাঁচার ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরের বারান্দা, আঙ্গিনা বা ছাদ পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পানি পাঁচদিনের বেশি জমে না থাকে। এসি বা ফ্রিজের নিচেও যেন পানি না থাকে, তাও নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু এই মশাটি দিনের বেলায় কামড়ায়, তাই দিনের বেলাায় কেউ ঘুমালে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। মশা মারার জন্য স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। ছোট বাচ্চাদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট পরতে হবে, আর সবার খেয়াল রাখতে হবে যেন মশা ডিম পাড়ার সুযোগ না পায়। এর আগে ‘বেসরকারী চিকিৎসাসেবা ঃ সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ বিষয়ের ওপর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বেসরকারী চিকিৎসাসেবার ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করেছে টিআইবি। জরিপ প্রতিবেদনের নানা বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
×