ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিদ্ধান্তহীনতায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৯ মার্চ ২০১৮

সিদ্ধান্তহীনতায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ  নষ্ট হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা থেকে ॥ পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন ফেরিঘাটে অযতœ-অবহেলায় বছরের পর বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ২৬টি ফেরি-পন্টুন ও গ্যাংওয়ে। একদিকে লবণ পানির আধিক্য। অন্যদিকে রোদে পুড়ে, বর্ষায় ভিজে এসব ফেরি-পন্টুন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। রাতের আঁধারে চুরি হয়ে যাচ্ছে লোহালক্কড়। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও সিদ্ধান্তহীনতায় সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ এভাবে সবার চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পটুয়াখালী ফেরি বিভাগের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর, লেবুখালী, বগা, নলুয়াবাগী, পায়রাকুঞ্জ, গলাচিপা, কলাপাড়া, হাজীপুর, মহিপুর ও পটুয়াখালী সেতু সংলগ্ন মোট ১০টি ফেরিঘাট রয়েছে। এসব ফেরিঘাটের মধ্যে ৬টি ফেরিঘাটে ১৩টি স্টিল ও ইউনিফ্লট ফেরি, ১১টি মোডিফাইড পন্টুন ও ২টি গ্যাংওয়ে বছরের পর বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এর মধ্যে বাউফলের বগা ফেরিঘাটে ২টি, গলাচিপায় ২টি ফেরি ও একটি পন্টুন লবণাক্ততায় মরিচা ধরে অচল অবস্থায় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পড়ে আছে। গলাচিপার ফেরি ২টি মাটির নিচে দেবে গেছে। হাজীপুর ফেরিঘাটে ৩টি ফেরি, ১টি পন্টুন ও ফেরিতে ওঠার ২টি গ্যাংওয়ে পানিতে ডুবে যাওয়া অবস্থায় পড়ে আছে। মহিপুর ফেরিঘাটেও পরিত্যক্ত অবস্থায় ২টি ফেরি ও ৩টি পন্টুন লবণাক্ততায় মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যচ্ছে। পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাটের ফেরিতে ওঠার বেলি সেতুর অর্ধেক অংশ দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে দেবে যাচ্ছে। পটুয়াখালীর ফেরিঘাটেও অকেজো একটি ফেরি ও ৫টি পন্টুন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এসব ফেরি-পন্টুন ও গ্যাংওয়ের কোনটা পানির নিচে অর্ধ ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। আবার কোনটা তীরে আটকে পড়ে আছে। আবার কোন কোন ফেরি-পন্টুন জোয়ারভাটায় ভাসছে-ডুবছে। কোন কোনটি মাটির নিচে চলে যাচ্ছে। কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে কর্তৃপক্ষ এসব ফেরি-পন্টুন রক্ষণাবেক্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে খোলা আকাশের নিচে পরিত্যক্ত এসব ফেরি-পন্টুনের বাজার মূল্য ক্রমে কমে যাচ্ছে। এছাড়া, মেরামতের মাধ্যমে ব্যবহারোপযোগী করার সম্ভাবনাও মাঠে মারা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেরি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শামিমুল হক জানান, এসব ফেরি-পন্টুন এরই মধ্যে ব্যবহার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×