ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে চার পাটকলে উৎপাদন হচ্ছে দেড় কোটি চটের বস্তা

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৮ মার্চ ২০১৮

 নীলফামারীতে চার পাটকলে উৎপাদন হচ্ছে দেড় কোটি চটের বস্তা

তাহমিন হক ববী, নীলফামারী ॥ পাট বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। আমাদের দেশে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা ব্যাপক। দেশের পাটের সুনাম রয়েছে জগত জুড়ে। আমাদের দেশের মাটি ও জলবায়ু পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বর্তমানে নীলফামারীতে পাটচাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে গড়ে উঠেছে চারটি পাটজাত পণ্য উৎপাদনের পাটকল। ‘বাংলার পাট, বিশ্বমাত’ সোনালি আঁশের সোনার দেশ, পাট পণ্যের বাংলাদেশ’। পাট দিবসের এই সেøাগানকে সামনে রেখে চলতি মৌসুমে জেলার পাট চাষীরা পাট চাষে জমি তৈরি করতে শুরু করেছে। সংগ্রহ করছে উন্নত মানের পাট বীজ। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জমিতে জমিতে পাট চাষ শুরু করবে পাট চাষীরা। বাজারে পাট বীজের মধ্যে দেশী-ডি ১৫৪, সিভিএল-১, তোষা-৭২, তোষা-৯৮৯৭, বেঙ্গল মহারাষ্ট্র । নীলফামারী কৃষি বিভাগের হিসেব মতে দুই বছর আগে জেলায় পাট চাষ হতো ১১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে। চলতি সময় এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। তবে বাজারে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামীতে পাট চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে। এ নিয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নীলফামারীতে যে চারটি পাটকল গড়ে উঠেছে এতে প্রতিবছর ৪ লাখ মন পাটের চাহিদা রয়েছে। এতে উৎপাদিত হয় দেড় কোটি চটের বস্তাসহ পাটের অন্যান্য পণ্য। চারটি পাটকলে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। নীলফামারী সদরের ইকু জুট মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুল আলম বলেন, বর্তমান সরকার পাটের ওপর জোড় দিয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিক পণ্যের বাজারজাত এখনও কমেনি। ফলে পাটজাত দ্রব্য নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। বর্তমানে প্লাস্টিক পণ্য বাজারে সরবরাহ থাকায় পাটকলে উৎপাদিত বস্তা, হেসিয়ান চট, সুতালি ও পাটের সুতা বিক্রি কমে যাচ্ছে।প্লাস্টিক পণ্য কঠোর হস্তে দমন করলে পাটের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। নীলফামারী কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কাশেম আযাদ বলেন, চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এবার পাট উৎপাদিত হবে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬ মেট্রিক টন। অপরদিকে জেলায় ৪টি পাটকলের বছরে চাহিদা রয়েছে ১৬ হাজার মেট্রিক টন। যা পাটকলগুলোর চাহিদা পূরণ করেও এ জেলার উৎপাদিত পাট দেশের অন্যান্য পাটকল বা পাটজাত শিল্পের চাহিদা পূরণ করছে।
×