ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অন্যত্র যাচ্ছে পরিবারগুলো

সংস্কারের অভাবে বেহাল কিশোরীগঞ্জের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৭ মার্চ ২০১৮

সংস্কারের অভাবে বেহাল কিশোরীগঞ্জের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দীর্ঘ ২২ বছর আগে নির্মাণ করা নীলফামারীর আশ্রয়ণপ্রকল্পগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কারের অভাবে আশ্রয়ণপ্রকল্পের বসবাসকারীরা পড়েছে চরম বিপাকে। নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকার আশ্রয়ণপ্রকল্পগুলোর মধ্যে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার তিনটি আশ্রয়ণপ্রকল্পের শেডগুলোর অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, ভূমিহীন, অসহায়, দরিদ্র পরিবারের জন্য ১৯৯৬ ও ২০০০ সালে বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাহাগিলি ঘাটের পার, বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর ও নিতাই ইউনিয়নের বাড়ি মধুপুর গ্রামে তিনটি আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়। সরেজমিনে বাহাগিলি ইউনিয়নের দক্ষিণ বাহাগিলি আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায় ওই আশ্রয়ণপ্রকল্পে ৮০ পরিবার বাস করত। প্রতিটি পরিবারের জন্য বিদ্যুত সংযোগ, টিউবয়েল ও গণশৌচাগারের ব্যবস্থা করা হলেও বর্তমানে সেগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। পাশাপাশি প্রকল্পের ঘরগুলোর টিনের চালা ভেঙ্গে ও মরিচা ধরে সেগুলো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে ভাঙ্গা টিনের চালা দিয়ে ঘরের ভেতর পানি পড়ে। ফলে অনেকে অসহনীয় কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। বর্তমানে আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে ৩৬ পরিবার বাস করলে তাদের অন্যত্র যাওয়ার জায়গা না থাকায় তারা কষ্ট করে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর আশ্রয়ণপ্রকল্পে গিয়ে একই অবস্থা দেখা যায়। বড়ভিটা আশ্রয়ণপ্রকল্পেও ৮০টি পরিবারের মধ্যে ৩৫ পরিবার বাস করলেও বাকি পরিবারগুলো ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। বাহাগিলি ইউনিয়নের আশ্রয়ণপ্রকল্পের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম (৫৬) বলেন, বাবা আমরা প্রথম যখন আশ্রয়ণপ্রকল্পের এসেছিলাম তখন মনে হয়েছিল আমাদের দুঃখের দিন শেষ কিন্তু বর্তমানে বসবাস করা যায়না।মাধুরী রানী রায় বলেন, আমাদের কেউ কোন খোঁজ খবর নেয়না। তারা জানায়, বর্তমানে আশ্রয়ণপ্রকল্প-২ বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। পাকা ঘর বানিয়ে দেবে এবার। কিন্তু ২০/২২ বছর আগের আশ্রয় প্রকল্পগুলোর কি হবে। যা এখন ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম। এসব সংস্কার জরুরী হয়ে পড়েছে। তা হলে অসহায় ভূমিহীন মানুষজনের মাথা গোজার ঠাঁই থাকবে না। বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু বলেন, আমি আশ্রয়ণপ্রকল্পে অনেকবার গিয়েছি। তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি। পাশাপাশি আশ্রয়ণপ্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছি। বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের আশ্রয়ণপ্রকল্পের ঘরগুলো থাকার একবারে অনুপযোগী । সেগুলো সংস্কার করার জন্য আমিও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অনুরোধ করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, আশ্রয়ণপ্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য সরকারী বরাদ্দ এলে সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
×