ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রযুক্তি হস্তান্তর

ইলিশের স্যুপ ও নুডলস বাজারে আসছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৭ মার্চ ২০১৮

ইলিশের স্যুপ ও নুডলস বাজারে আসছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে রান্না করে ইলিশ খাওয়ার বাইরেও পাওয়া যাবে ইলিশের স্বাদ ও ফ্লেভার। আর এই স্বাদ পাওয়া যাবে নুডলস ও স্যুপের মাধ্যমে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে ইলিশের নুডলস ও স্যুপ। যা দেশীয় বাজারসহ এক সময় বিদেশেও রফতানি করা হবে। মঙ্গলবার মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইলিশের মূল্য সংযোজিত পণ্য (স্যুপ ও নুডলস) তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। মন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, এই পণ্যটি প্রাথমিকভাবে বাজারজাত করবে ভার্গো ফিস এ্যান্ড এগ্রো প্রসেস লিমিটেড। তবে মন্ত্রণায়ের দিক নির্দেশনায় পরবর্তীতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও বাজারে আনতে পারবে। মৎসমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংস্পূর্ণ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে মাছের উৎপাদন হয়েছে ৪১.৩৪ লাখ মে. টন। যার প্রায় ১২ শতাংশই হলো ইলিশ। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে ইলিশের কদর। তাই আমরা চিন্তা করেছি কিভাবে এই মাছ সবার কাছে পৌঁছানো যায়। ছোট বাচ্চারাও কিভাবে কাঁটামুক্ত মাছ পাবে এবং অফ সিজনেও ইলিশ পাওয়া যাবে সে চিন্তা থেকেই এসব করা। মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. নওশাদ আলম এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। উদ্ভাবিত পণ্যের গুণগতমান যাচাইয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে নমুনা বিশ্লেষণ করে এর যথাযথ মান নিশ্চিত করা হয়েছে। নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, মৎস অধিদফতরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন নিয়ে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইকোফিশ প্রকল্পের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় প্রযুক্তিটি উদ্ভাবনের উদ্যোগ নেয়া হয় এবং একটি উপযুক্ত প্রাইভেট পার্টনার নির্বাচনের জন্য ৪ সদস্যের কমিটিও করা হয়। পরবর্তীতে কমিটির সুপারিশে ভার্গো ফিস এ্যান্ড এগ্রো প্রসেসকে মনোনীত করা হয়। ইতোমধ্যেই প্রাইভেট পার্টনার প্রতিষ্ঠানের ৮ কারিগরি জনবলকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। মৎসমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এবং মৎস্য ও মৎস্য পণ্য বিধিমালা ১৯৯৭-সহ বিদ্যমান সংশ্লিষ্ট বিধি অনুসরণে এই পণ্যগুলো বিএসটিআই এর ছাড়পত্র নিয়ে বাজারজাত করবে। যা গ্রাহকের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই মূল্য রাখা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
×