ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্চ দরে শেয়ার বিক্রি করছেন ফার্মা এইডের উদ্যোক্তা

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৭ মার্চ ২০১৮

উচ্চ দরে শেয়ার বিক্রি করছেন ফার্মা এইডের উদ্যোক্তা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতে কোম্পানি ফার্মা এইড লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালকরা চড়া দরে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। গত এক মাসে উদ্যোক্তা পরিচালকরা কোম্পানিটির ৩.৫৯ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে সাড়ে ৫ কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, গতবছর ৩০ ডিসেম্বর তারিখে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে শেয়ার ছিল ২৮.৪৪ শতাংশ। এক মাস পর গত ৩১ জানুয়ারি উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে কোম্পানির শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে ২৪.৮৫ শতাংশে। অর্থাৎ এক মাসে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন ৩.৫ শতাংশ বা ১ লাখ ১২ হাজারের বেশি শেয়ার। এসব শেয়ারের বাজার মূল্য সাড় ৫ কোটি টাকার বেশি। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোম্পানিটির উদ্যোক্তাদের ন্যূনতম শেয়ার দুই শতাংশ নেই। ন্যূনতম শেয়ার ধারণ করার জন্য বাজার থেকে তাদের শেয়ার কেনার কথা। সেখানে তারা চড়া দর পেয়ে নিজেদের হাতে থাকাও শেয়ারও বিক্রি করে দিচ্ছেন। কোম্পানিটির উদ্যোক্তাদের এ মনোভাব মোটেও শুভ নয়। এটি শেয়ারবাজারের জন্য অশুভ ইঙ্গিত। এদিকে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা এমনিতেই ইমেজ ক্রাইসেসে রয়েছেন। শেয়ারবাজারে এর আগে এ্যাক্সেসিয়র সুজ নামক একটি কোম্পানির শেয়ার দিয়ে বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়েছেন, এখন শেয়ারের দর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠায় আবারও তারা অশুভ খেলায় মেতে উঠেছেন। তারা অভিযোগ করছেন, কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সময়ে সময়ে আর্থিক প্রতিবেদনে উত্থান-পতন ঘটিয়েও ফায়দা লুটেছন। এমন ঘটনা অতীতে বহুবার ঘটেছে। অন্যদিকে, কোম্পানিটিতে ৩০ জুন ২০১৭ তারিখে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ছিল ৫.৮৫ শতাংশ। ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৩৮ শতাংশে। অর্থাৎ এ সময়ে কোম্পানিটির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে ২.৪৭ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও চড়া শেয়ার দর পেয়ে কোম্পানিটি থেকে সরে পড়ছেন। উল্লেখ্য, গত নবেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ২৮০ টাকার নিচে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার ৫৩০ টাকার ঘরে কেনাবেচা চলছে। এ সময়ে কোম্পানিটির দর বেড়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ। এর বর্তমান পিই ৩৩ পয়েন্টের বেশি। এছাড়া, কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে নানা আপত্তি তুলেছে।
×