ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে সহকর্মীর কাছ থেকে ঘুষ নিল পুলিশ

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৬ মার্চ ২০১৮

যশোরে সহকর্মীর কাছ থেকে ঘুষ নিল পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ প্রবাদ আছে ‘কাকের মাংস কাকে খায় না’। কিন্তু কথাটি যেন প্রযোজ্য নয় পুলিশের ক্ষেত্রে! সুযোগ পেলেই সুবিধা আদায়ে নিজের সহকর্মীকেও ছাড় দিচ্ছে না পুলিশ। সম্প্রতি যশোরে এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এক এএসআই’র কাছ থেকে খোয়া যাওয়া ১০ রাউন্ড গুলিভর্তি পিস্তলের ম্যাগজিন গোপন করে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন আরেক এএসআই। বিষয়টি জানাজানি হলে যশোর কোতোয়ালি থানা চত্বরে কানাঘুষা হতে দেখা যায়। জানা গেছে, কয়েকদিন আগে রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই শাহজাহান আলী পুলিশের স্পেশাল-১ এর ডিউটি পালন করছিলেন। একটি থ্রি হুইলার অটো রিক্সায় ফোর্স ডিউটিকালে চালক ছিলেন যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের আলমগীর হোসেন। ডিউটি চলাকালে অনবধানবশত তার সরকারীভাবে ইস্যুকৃত পিস্তল থেকে ১০ রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিন ওই গাড়িতে পড়ে যায়। ডিউটি শেষে তিনি তা লক্ষ্য না করে গাড়ি থেকে নেমে যান। ডিউটি শেষে গাড়িটি পরিষ্কার করার সময় ম্যাগজিনটি দেখতে পান চালক আলমগীর হোসেন। আলমগীর কয়েক বছর ধরে পুলিশের কাজে তার গাড়িটি ব্যবহার করেন। পুলিশের কাছাকাছি থাকার কারণে তার বেশ কয়েকজন অফিসারের সঙ্গেও পরিচয় আছে। তিনি ওই ম্যাগজিনটি পেয়েই তার পূর্ব পরিচিত যশোর সদরের ফুলবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের টু-আইসি এএসআই আতিকুর রহমানের হাতে তুলে দেন। আতিকুর রহমান ম্যাগজিনটি হাতে পেয়ে কার কাছ থেকে খোয়া গেছে তা চালকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন। আতিকুর রহমান চালক আলমগীরের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নাম পরিচয় গোপন রেখে এএসআই শাহাজাহানের সঙ্গে কথা বলেন। আতিকুর রহমান নানা কৌশলে শাহাজাহানের কাছ থেকে ওই ম্যাগজিন ফেরত পেতে হলে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে অনেক দেনদরবার করে ৩০ হাজার টাকায় রাজি হন আতিকুর। এএসআই শাহজাহান ফুলবাড়ি ক্যাম্পে গিয়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ম্যাগজিনটি উদ্ধার করেন। হাওড়ে বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের প্রতিবাদ নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ৫ মার্চ ॥ বাঁধ নির্মাণের নীতিমালা লঙ্ঘনের প্রতিবাদে হাওড় বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়। সোমবার বেলা ১টায় শহীদ জগৎজোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলায় কর্মরত প্রায় সকল প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাঁধ নির্মাণে সরকারের বাঁধনির্মাণ নীতিমালা ২০১৭ বেশিরভাগই লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। বারবার বলার পরও আমাদের হাওড়বাসীর ন্যায্য অধিকারের বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা উদাসীন রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হাওড় বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও নেতৃবৃন্দ বলেন, অপ্রয়োজনীয় বাঁধনির্মাণ, বাঁধ নির্মাণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়নি কোথায়।
×