ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে সেচ মৌসুমের শুরুতেই ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক

প্রকাশিত: ০৪:২২, ৬ মার্চ ২০১৮

রাজশাহীতে সেচ মৌসুমের শুরুতেই ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বোরোর সেচ মৌসুমের শুরুতেই রাজশাহী অঞ্চলে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে। ফলে জমিতে সেচকাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষক। একদিকে ট্রান্সফরমার চুরি অন্যদিকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে দোটানায় পড়েছেন কৃষক। কৃষকদের আশঙ্কা, বোরো মৌসুমের শুরুতেই ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় বোরো আবাদে সেচ নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে তাদের। এ দিকে চুরির ঘটনায় পল্লী বিদ্যুত সমিতির (পবিস) দুর্গাপুর জোনাল অফিসের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমার উদ্ধার হয়নি। কিংবা এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পবিস রাজশাহীর দুর্গাপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ অফিসের আওতাধীন ধরমপুর গ্রাম থেকে সম্প্রতি রাতে একটি গভীর নলকূপ থেকে ৫ কেভিএ সাইজের তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এর মূল্য এক লাখ ৩৮ হাজার ৫২৮ টাকা। ওই গভীর নলকূপটি ধরমপুর গ্রামের সেকমত আলী নিয়ন্ত্রণ করতেন। একই রাতে তিনটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় ওই গভীর নলকূপের আওতায় থাকা জমিতে সেচ কাজ ব্যাহত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া থেকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) আওতাধীন একটি গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ফলে বোরো মৌসুমের শুরুতেই ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় আবাদ নিয়ে চিন্তিত কৃষক। শুধু দুর্গাপুর নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে মাঠে গভীর নলকূপ চালুর সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে। পবিস দুর্গাপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আবু উমাম মোঃ মাহবুবুল হক বলেন, আমাদের আওতাধীন ধরমপুর গ্রামের একটি গভীর নলকূপ থেকে ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার উদ্ধার কিংবা চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তিনি জানান, ট্রান্সফরমার চুরি রোধে গভীর নলকূপের অপারেটর ও স্থানীয় গ্রামবাসীর সহযোগিতা থাকতে হবে। তাছাড়া চুরি ঠেকানো সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ওসি রুহুল আলম জানান, ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগ আসার পরপরই সেগুলো উদ্ধারে একাধিক জায়গায় অভিযান চালান হচ্ছে। এমনকী ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রটির কয়েকজন সদস্যকেও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান ওসি।
×