স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে ১ লাখ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। এর মধ্যে শিল্প-কারখানা স্থাপনে প্রয়োজনীয় জমি প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় ইতিমধ্যে ৭৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে এবং আরও ২৫ হাজার একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি বেজার সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল আসেম খানের নেতৃত্বে ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাক্ষাতের জন্য আসেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এসব কথা বলেন। সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য হারুন-উর-রশিদ, মোহম্মদ আইয়ুব, ডিসিসিআই সাবেক সভাপতি হোসেন খালেদ, ডিসিসিআই উর্ধতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক হোসেন এ সিকদার, হুমায়ুন রশিদ, আল আমিন, নূহের লতিফ খান, এস এম জিল্লুর রহমান, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পবন চৌধুরী বলেন, শিল্পায়নে ধারাকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বেজা ইতিমধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যেটি এরই মধ্যে বেসরকারী উদ্যোগের ছয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে লাইসেন্স প্রদান করেছে। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালীতে ২৪ হাজার একরের আরও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে, যার মধ্যে ৪ হাজার একর জায়গা শিল্প স্থাপনে বরাদ্দ দেয়া হবে এবং বাকি ২০ হাজার একর জায়গায় ট্যুরিজম পার্ক স্থাপন করা হবে। অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের কার্যকারিতা নিশ্চিতকরণের জন্য স্বল্প এবং সামুদ্রিক বন্দরসমূহের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন প্রয়োজন। তিনি অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের সঙ্গে সড়ক, রেল এবং নৌপথের যোগাযোগ স্থাপন জরুরী বলে মনে করেন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য স্বল্পমূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত-গ্যাসসহ অন্যান্য সেবা প্রদানের আহ্বান জানান এবং পিপিপি কার্যালয়ের সঙ্গে বেজার সমন্বয় আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।