ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চলছে আত্রাই নদী খনন ॥ উন্মোচিত হবে উন্নয়নের দ্বার

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৫ মার্চ ২০১৮

চলছে আত্রাই নদী খনন ॥ উন্মোচিত হবে  উন্নয়নের দ্বার

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ ‘আত্রাই নদী’ খননের মধ্যদিয়ে এলাকাবসীর আর্থসামাজিক উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হতে চলেছে। একটি ঐতিহ্যবাহী নদী হওয়ার পরও যুগ যুগ খনন না করায় মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পানি থাকলেও শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই নদীর পানি শুকিয়ে যায়। ফলে এলাকাবাসীকে পানি কষ্টসহ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এক সময় আত্রাই নদী খরস্রোতা ছিল। নদীতে উত্তাল ঢেউ আর পাল তোলা নৌকা বয়ে চলত। একমাত্র নৌপথই ছিল মালামাল পরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উল্লেখযোগ্য পথ। নদীপথে মালামাল পরিবহন করে আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী হতো এলাকার শত শত ব্যবসায়ী। সারা বছর নদীতে থাকতো পানি। আর এ পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে নদী তীরবর্তী জেলার বিভিন্ন মাঠে চাষ করা হতো সব রকমের ফসল। এ ছাড়াও সারা বছর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত বিপুল সংখ্যক মৎস্যজীবী। কালের আবর্তে নদী হারিয়ে ফেলে তার নাব্যতা। সারা বছর তো দূরের কথা বছরে ছয় মাসও নদীতে ঠিকমত পানি থাকে না। ফলে স্বল্প খরচে নদীর পানি দিয়ে কৃষকরা আর চাষাবাদ করতে পারে না। পারে না মৎস্যজীবীরাও মাছ শিকার করতে। একদিকে আর্থিক লোকসানের শিকার হয় এলাকার হাজার হাজার কৃষক, অপরদিকে বছরের প্রায় ছয় মাস মানবেতর জীবন যাপন করতে হয় মৎস্যজীবীদের। ফলে থেমে যায় এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নের চাকা। এ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং নদীকে আবারও তার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন নদী খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় এমপি মোঃ ইসরাফিল আলমের প্রচেষ্টায় আত্রাই নদীর ৪৬ কিলোমিটার জুড়ে ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী খনন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) শুরু করে আত্রাই নদী খননের কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিএর তত্ত্বাবধানে চলছে ঐতিহ্যবাহী আত্রাই নদী খনন কার্যক্রম। এ নদী খনন শেষ হলে সারা বছর নদীতে থাকবে পানি। এ পানি দিয়ে কৃষকরা স্বল্প খরচে তাদের কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে পারবেন। এ ছাড়া মৎস্যজীবীদের ভাগ্যেরও উন্নয়ন ঘটবে।
×