ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চা পানের উপকারিতা

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৫ মার্চ ২০১৮

চা পানের উপকারিতা

চায়ের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিন দূর করার নাম হল ‘টিটক্স’। ক্লান্ত লাগলে বা সর্দি-কাশি হলে আমরা আদা চা খেয়ে থাকি। কিন্তু চায়েরও রয়েছে অনেক ধরন। প্রায় সব সমস্যার উপশমেই খেতে পারেন চা। সব চা-ই পাওয়া যায় টি-ব্যাগ হিসেবে। পেট বেশি ভরে গেলে জেসমিন, ক্যামোমাইল, পেপারমিন্ট, মৌরি, ড্যান্ডেলিয়ন, ক্র্যানবেরি চা খান। গলা ব্যথার সমস্যায় কাজে আসবে ক্যামোমাইল, গ্রিন টি বা রেড বুশ টি। গা গোলানো, বমি ভাব কাটাতে সাহায্য করবে পেপারমিন্ট টি। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে ক্যালেন্ডুলা, ক্যামোমাইল, গ্রিন টি, হোয়াইট টি, লাইকোরিস চা খান। অতিরিক্ত স্ট্রেস ও অনিদ্রার সমস্যায় ক্যামোমাইল, প্যাশন ফ্রুট, লেমনগ্রাস, মিন্ট চা খেলে উপকার পাবেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক বা গ্রিন যে চা-ই খান না কেন, তাতে রয়েছে এ্যান্টইক্সিডেন্ট। শরীরের ফ্রি র‌্যাডিক্যালসের সঙ্গে লড়াই করে কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। চা-এ মূলত ভিটামিন সি, পলিফেনল থাকে। কিছু পরিমাণ এ্যাসেনশিয়াল অয়েলও থাকে। দিনে দু’কাপ গ্রিন টি খেলে যে পরিমাণ ভিটামিন সি আপনার শরীরে ঢুকবে, তা মোটামুটি এক গ্লাস কমলালেবুর রসের সমান। এ ছাড়া চায়ে পটাশিয়াম, নিয়াসিন, ফোলিক এসিড, ম্যাঙ্গানিজ আর অল্প পরিমাণে ভিটামিন বি ওয়ান ও বি টু থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে চা খেলে মনোসংযোগ আর ক্ষিপ্রতা বাড়ে। আমাদের শরীরে থাকা শ্বেতকণিকা মূলত ইনফেকশনের সঙ্গে মোকাবেলার শক্তি যোগায়। গ্রিন টির পলিফেনল আর ভিটামিন সি শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়ায়। ফলে পরোক্ষে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে সাহায্য করে। এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই চা হার্টের অসুখ প্রতিরোধে সাহায্য করে। চায়ে থাকা এ্যাসেনশিয়াল অয়েল হজমে সাহায্য করে। ফুড পয়জনিংয়ের মোকাবেলাও করে। চায়ের এ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানও ইনফেকশনের মোকাবেলায় কাজে দেয়। চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুয়োরাইড। এই মিনারেলটি হাড় ও দাঁতের এনামেল অটুট রাখে। তাই চা পান অস্টিওপোরেসিসের সম্ভাবনা যেমন কমায়, তেমনই চায়ের মধ্যে থাকা পলিফেনল মুখের ব্যাকটিরিয়া ধ্বংস করে। যাপিত ডেস্ক
×