ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তারুণ্যের শক্তিতেই উড়বে ভারতের পতাকা

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ৫ মার্চ ২০১৮

 তারুণ্যের শক্তিতেই উড়বে ভারতের পতাকা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কা-ভারত ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে নিদাহাস ত্রিদেশীয় টি২০ ট্রফির লড়াই। যেখানে অপর দল বাংলাদেশ। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশ পূর্ণশক্তির দল নিয়েই এই টুর্নামেন্টে খেলছে। তবে নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলিসহ পাঁচ-ছয়জন নিয়মিত পারফর্মারকে বিশ্রামে রেখে লঙ্কায় পাড়ি জমিয়েছে ভারত। নেই অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনি, সেনসেশনাল পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ, স্পিডস্টার ভুবনেশ্বর কুমার, আলোচিত অলরাউন্ডার হারদিক পা-িয়া আর চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদব। ভারত কি তবে টুর্নামেন্টটাকে একদমই গুরুত্ব দেয়নি? দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার কিন্তু সেটি মানতে রাজি নন। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে যারা খেলছে তাদেরও সেরা সাফল্য তুলে নেয়ার সামর্থ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এখান থেকে আগামীর তারকা বেরিয়ে আসবে বলেও মনে করেন সাবেক ভারত অধিনায়ক। স্থানীয় সংবাদ মাধম্যকে গাভাস্কার বলেন, ‘ভারত তাদের তারকা ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে একদিক দিয়ে ভালই করেছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তরুণরা নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিতে পারবে। আমার তো মনে হয়, তারুণ্যই রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন এই দলটির বড় শক্তি। এখান থেকে আগামীর তারকা বেরিয়ে আসবে। ওরা নিদাহাস ট্রফি জয় করে ফিরলেও আমি অবাক হব না।’ সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ জিতে ফিরেছে ভারত। কোহলির ইনজুরির কারণে সেখানে শেষ টি২০তে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন রোহিত। অন্যদিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ, টেস্ট এবং টি২০ জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে চন্দিকা হাতুরাসিংহের শ্রীলঙ্কা। স্বাভাবিকভাবেই নিদাহাস ট্রফিতে টাইগারদের ফেবারিট হওয়ার কথা নয়। অন্তর্বর্তী প্রধান কোচ কোর্টনি ওয়ালশও সেটি স্বীকার করেছেন। তবে মজার বিষয়, আরেক সাবেক ভারতীয় তারকা ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকর নিদাহাস ট্রফিতে দ্বিতীয়সেরা শক্তি হিসেবে টাইগারদেরই বেছে নিচ্ছেন। তার মতে, নিদাহাস ট্রফিটা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিতে এই টুর্নামেন্টটা টাইগারদের জন্য বিশাল সুযোগ। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ এখানে শ্রীলঙ্কার চেয়েও শক্তিশালী। মাঞ্জরেকর বলেন, ‘নিদাহাস ট্রফি বাংলাদেশকে আরও একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিতে যাচ্ছে যে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের আরও একবার প্রমাণ করার। বিশেষ করে ভারতের মতো বিশাল ক্রিকেট অনুসরণকারী জাতির সামনে নিজেদের তুলে ধরার। আগের বছরগুলোতে বাংলাদেশ খুব ধীরগতিতেই এগিয়েছে। এ কারণে তাদের শারীরিক, মানসিক শক্তিবৃদ্ধি ঘটেছে। ফিটনেসের উন্নতি হয়েছে। এবং একই সঙ্গে অবশ্যই খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসের দারুণ বৃদ্ধি ঘটেছে। আমার মনে হয় ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কা সিরিজে ব্যর্থতার বদলা নিতে ওরা মুখিয়ে আছে। সেই শক্তিও তাদের ভালমতোই রয়েছে।’ মাঞ্জরেকর আরও বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে নিজেদের প্রমাণ করার এখনও অনেকদূর বাকি। এমনকি এই এক ইস্যুতে ভারতের সঙ্গেও কোন পার্থক্য নেই। তবে এই ত্রিদেশীয় সিরিজে আমি মনে করি বাংলাদেশই ভারতের পর সবচেয়ে শক্তিশালী দল। যদিও সাকিব ইনজুরিতে। তবে এই দলটিতে আছে তামিম ইকবাল ও মুস্তাফিজুর রহমান, মুশফিকুর রহীমের মতো ক্রিকেটার। ওরা গেম-চেঞ্জার্স। নিজের দিনে যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে।’
×