ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা বার নির্বাচন

সাধারণ সম্পাদক সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে আওয়ামী পিন্থীদের জয়

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ৪ মার্চ ২০১৮

সাধারণ সম্পাদক সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে আওয়ামী পিন্থীদের জয়

কোর্ট রিপোর্টার ॥ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেল ২৭টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪টি পদে বিজয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের নীল প্যানেল সভাপতিসহ ১৩টি পদে জয়ী হয়েছে। শনিবার ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোন্দকার আব্দুল মান্নান এ ফল ঘোষণা করেন। ফলে বিএনপি সমর্থক নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী গোলাম মোস্তফা খান ৪ হাজার ৮১০ ভোট পেয়ে সাদা প্যানেলের প্রার্থী আব্দুর রহমান হাওলাদারকে পরাজিত করেন। হাওলাদার পেয়েছেন ৪০৪৬ ভ্টো। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থক সাদা প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাধারণ মোঃ মিজানুর রহমান মামুন ৪ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে নীল প্যানেলের প্রার্থী হোসেন আলী খান হাসানকে পরাজিত করেন। হোসেন আলী পেয়েছেন ৪০৪১ ভোট। সাদা প্যানেলের বিজয়ী অন্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী শাহানারা ইয়াছমিন, সহ-সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন, ট্রেজারার আরিফুর রহমান চৌধুরী সুমন, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন পাটয়ারী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রশিদ ও লাইব্রেরি পদে এম মনিরুজ্জামান এবং সদস্য পদে আব্দুর রব খান পল্লব, আসাদুজ্জামান বাবু, মোঃ সাইফুজ্জামান টিপু, খায়রুল ইসলাম, মির্জা মোঃ জামাল হোসেন ও সিফাত নাহার সুমি। অন্যদিকে নীল প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহনাজ বেগম শিরীন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এমএবিএম খায়রুল ইসলাম লিটন ও খেলাধুলা সম্পাদক মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান এবং সদস্য একতানদার হোসেন হাওলাদার বাপ্পি, হান্নান ভুইয়া, জাকিয়া সুলতানা মিষ্টি, মোঃ মুকতাদির আহমেদ কাজল, মোঃ জাহেদ উল আলম জ্যোতি, মেহেদী হাসান বাদল, জেবুন্নেছা খানম জীবন, শারমিন জাহান শিমু ও জহুরা খাতুন জুঁই। এর আগে ২০১৮-২০১৯ কার্যবর্ষের দুইদিনব্যাপী এই নির্বাচনে গত ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ১৬ হাজার ১২৯ জন আইনজীবী ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ১১ জন আইনজীবী ভোট দেন। এরপর গত ১ মার্চ রাত ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনার সময় একজন বহিরাগতের ভেতরে প্রবেশ করা নিয়ে আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর সমিতির নিচতলায় ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার সমিতির সাবেক সভাপতি খোন্দকার আব্দুল মান্নানও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ভোটগণনা স্থগিত করা হয়। পরে ভোট গণনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে শুক্রবার ১২টার দিকে নির্বাচনের প্রার্থী, সমিতির বর্তমান ও সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে কমিশন বৈঠকে বসে মতামত দেন। পরে আলাদাভাবে কমিশনের সদস্যরা বসে পুনরায় শনিবার ভোট গণনা শুরুর সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার বেলা ১১টায় ভোট গণনা শুরু করে নির্বাচন কমিশন। রাত ১০টার দিকে তা শেষ হয়। এরপরই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে মাট ২৭টি পদের মধ্যে ৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যার মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের ২৭ জন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ২৭ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১ জন। ২০১৭-২০১৮ কার্যবর্ষের নির্বাচনে নীল প্যানেল ২৭টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে জয়লাভ করে।
×