ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সবচেয়ে প্রাচীন উল্কি

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৪ মার্চ ২০১৮

সবচেয়ে প্রাচীন উল্কি

বর্তমান বিশ্বে শরীরে উল্কি আঁকানো বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন অঙ্গনের অনেক তারকার শরীরেও দেখা মেলে এই উল্কির। তবে বর্তমান বিশ্বের এই উল্কি বেশ জনপ্রিয় হলেও এর ইতিহাস কিন্তু বেশ প্রাচীন। অন্তত তেমন ইঙ্গিতই পেয়েছেন প্রত্মতাত্ত্বিক গবেষকরা। ব্রিটিশ প্রতœœতাত্ত্বিকদের দাবি, বিশ্বের ‘সবচেয়ে পুরনো’ উল্কির খোঁজ পেয়েছেন তারা। আর তা পাওয়া গেছে প্রাচীন মিসরের দুই মমিতে। তারা আরও বলছেন, শরীরে উল্কি আঁকা বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয় হলেও এটি নতুন কিছু নয়। অনেক দেশে উল্কি সুপ্রাচীন সংস্কৃতি হিসেবে পরিচিত। তবে মিসরে ফারাওরাও যে উল্কি করাতেন সে তথ্য এবারই উঠে এলো প্রথমবারের মতো। ব্রিটিশ প্রতœতাত্ত্বিকদের তথ্য অনুযায়ী, মিসরের একটি শহর থেকে প্রায় এক শ’ বছর আগে উদ্ধার হওয়া ‘গ্যাবেলিন ওম্যান’ নামে এক মমির শরীরে উল্কি পাওয়া গেছে। একটি লাইন এবং ইংরেজী ‘এস’ বর্ণের উল্কি রয়েছে মমির দেহে। আরও একটি মমির (‘গ্যাবলিন ম্যান’) শরীরে দেখা গেছে একটি ষাঁড় ও একটি ভেড়ার ছবি। তারা বলছেন, বর্তমানে লুক্সোরে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে গ্যাবেলিন শহরে খ্রিস্টপূর্ব ৩ হাজার ৩৫১ থেকে ৩ হাজার ১৭ সালের মধ্যে বসবাস করতেন মমি বানানো ওই দু’জন। ওই সময় মিসরের প্রথম ফারাওয়ের শাসনকাল হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশ মিউজিয়ামের বিজ্ঞানীরা বলছেন, নারীদের শরীরে আঁকা উল্কি সাধারণত তার ত্যাগ, সাহস ও জ্ঞানের স্বীকৃতি। আর পুরুষের শরীরের আঁকা উল্কি তার শক্তির পরিচয় দেয়।- জিনিউজ অবলম্বনে।
×