ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের গ্যাস শেষ হয়ে গেছে একথা বলার সময় আসেনি

দক্ষিণ উপকূলে আরও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৪ মার্চ ২০১৮

দক্ষিণ উপকূলে আরও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের দক্ষিণ উপকূলে আরও গ্যাস পাওয়ার আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন করে বাপেক্স ভোলা উত্তর গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের পর মেঘনা অববাহিকায় আরও গ্যাস থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ভোলার দুই গ্যাস ক্ষেত্রের কাছেই চর জব্বার, চর জব্বার উত্তর, মনপুরা, মহেশখালী ও সন্দ্বীপেও গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার রাজধানীতে ‘ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ’ (এফইআরবি) আয়োজিত এক সেমিনারে এই সম্ভাবনার কথা জানানো হয়। সেমিনারে বলা হয় দেশের বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্রে মজুদ কমে এসেছে। কিন্তু এখনই গ্যাস শেষ হয়ে গেছে এ কথা বলার সময় আসেনি। এখনও দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করা হয়নি। বাপেক্স নতুন করে ৬৫টি অনুসন্ধান কূপ খনন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এখানে বিপুল মজুদ থাকতে পারে। পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ২০৩০ এর পর বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্রে আর নতুন কোন গ্যাস পাওয়া যাবে না। দেশের চাহিদার পুরোটাই আমদানি করার কথা বলা হচ্ছে এমন এক সময়ে নতুন এই আশার কথা জানানো হলো। বাপেক্স দেশের যেসব এলাকায় দ্বিতীয়মাত্রার ভূকম্পন জরিপ চালিয়েছে তার ফলাফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সেমিনারে বলা হয় হাইপ্রেসার জোনের (উচ্চ চাপ এলাকা) নিচে কি রয়েছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনার ভয়ে হাই প্রেসার জোনের নিচে কূপ খনন করেনি কেউ। এখন সময় এসেছে অভিজ্ঞ তেল গ্যাস কোম্পানিকে দিয়ে হাই প্রেসার জোনের নিচের অবস্থা জানানো। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্বের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, পর্যাপ্ত অনুসন্ধান কাজ চালানোর পরামর্শ দেন তিনি। অধ্যাপক ইমাম বলেন, ভোলায় গ্যাস পাওয়ার আগে দেশের প্রায় সব গ্যাসক্ষেত্রই ছিল সিলেট অঞ্চলে সুরমা অববাহিকায়। ভোলায় গ্যাস পাওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে মেঘনা অববাহিকায় গ্যাস পাওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর জ¦ালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, গ্যাস তুলতে আরো কূপ দরকার। কয়টা লেয়ারে আছে সেটা জানা দরকার। সেই কাজগুলো আমরা করে যাচ্ছি। ভোলায় এখন দেড় টিসিএফ মজুদ আছে। এটা আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদী। তিনি দেশের সঙ্কট সামাল দিতে অনুসন্ধান উত্তোলনের পাশাপাশি এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে বলে জানান। ভোলার গ্যাসের ব্যবহার সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ভোলায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করে তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। ভোলার গ্যাস বরিশাল ও খুলনাসহ মূল ভূখ-ে আনার লক্ষ্যে পাইপলাইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, যদি পাইপলাইন করি তাহলে বরিশালে; ওইদিকে যারা গ্যাস এতদিন পায়নি এবং তাদের এতদিনের দাবি পূরণ করতে পারব।
×