ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিম্ন আদালতে বিচারকের রিজার্ভ পদ চান প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ২ মার্চ ২০১৮

নিম্ন আদালতে বিচারকের রিজার্ভ পদ চান প্রধান বিচারপতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিম্ন আদালতের বিচারকাজ সার্বক্ষণিক চলমান রাখতে ১০ শতাংশ বিচারকের রিজার্ভ পদ চান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে ও বিদেশে উচ্চশিক্ষা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও প্রেষণে পদায়নের কারণে বিচারক শূন্যতায় বিচারকাজ যেন স্থবির না হয়ে পড়ে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ যাতে ভোগান্তিতে না পড়েন, সেটা নিশ্চিত করার জন্য অধস্তন আদালতের মোট আনুপাতিক পদের ১০ শতাংশ রিজার্ভ পদ সৃষ্টি করা দরকার। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি এবং ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, সাম্প্রতিকালে বিচার বিভাগের অর্জন উল্লেখ করার মতো। আপনাদের ঐকান্তিক চেষ্টায় অনেক চাঞ্চল্যকর মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারক হিসেবে আমাদের প্রধান দায়িত্ব ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য দৈহিক ও আত্মিকভাবে সবটুকু মনযোগ ঢেলে দিয়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা। মনে রাখতে হবে একজন বিচারক সব সময়ই বিচারক থাকেন। তাই এজলাসের পরেও বিচারকের আচরণ এমন হতে পারবে না, যাতে মানুষ আস্থা হারায়। বিচারকদের আচার আচরণ-চলাফেরা মেলামেশা সব কিছুতেই সতর্ক ও সংযত থাকতে হবে। প্রধান বিচারপতি, নিম্ন আদালতের বিচারকদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট থেকে জারি করা সার্কুলার সঠিকভাবে প্রতিপালন করার জন্য। সেই সঙ্গে মামলার বিবরণী সঠিকভাবে হাইকোর্টে পাঠাতে বলেন তিনি। এছাড়া জেলা জজদের সিভিল আপীল নিষ্পত্তি করতে বলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, সিএমএম এবং সিজেএম আদালতের বিচারকরা সার্বক্ষণিক গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পান। অথচ অতিরিক্ত জেলা জজরা এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনানি করে গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পান না। তাই অতিরিক্ত জেলা জজদেরও সার্বক্ষণিক গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি। সেইসঙ্গে মামলা নিষ্পত্তিতে সর্বোচ্চ শ্রম ও মেধার ব্যবহার করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি। একই অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মামলাজট কমাতে ও বিচারপ্রার্থী জনগণের হয়রানি লাঘবে শীঘ্রই ই-জুডিশিয়ারি চালু করবে সরকার। সমৃদ্ধ বিভাগ হিসেবে গড়ে তুলতে বিচার বিভাগকে ঢেলে সাজাতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে বিচার বিভাগ কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান নয়, বরং বিচার বিভাগ জনগণের কল্যাণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করেন তিনি।
×