ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আবর্জনা আটকে পানি প্রবাহ বন্ধ ॥ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২ মার্চ ২০১৮

আবর্জনা আটকে পানি প্রবাহ বন্ধ ॥ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ১ মার্চ ॥ যত্রতত্র বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে রাখায় পটিয়া পৌর সদরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ড্রেনের পানি নিষ্কাশন একযোগে বন্ধ হয়ে পড়েছে। যার কারণে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান মহাসড়কের পটিয়া পল্লীবিদ্যুত অফিস এলাকায় ড্রেনের মাঝামাঝিতে বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে রাখায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় তারা পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজারকে মৌখিকভাবে এবং পরবর্তীতে নোটিশ দিয়ে অবহিত করেছেন। কিন্তু বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করা হয়নি। এদিকে, পটিয়া উপজেলা সদরের সাব রেজিস্ট্রার অফিস এলাকা থেকে শুরু করে বিদ্যুত অফিস এলাকা পর্যন্ত যে ড্রেন রয়েছে এ ড্রেনের পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে জমে রয়েছে। প্রতি বর্ষা মওসুমে অতি বৃষ্টির ফলে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনাযুক্ত দূষিত পানি রাস্তায় উঠে পড়ে। তবে ড্রেন এলাকায় যেসব দোকান রয়েছে তারা ড্রেনে প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে বর্তমানে ভরপুর। দোকানদারদের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেন নির্মাণ করলেও নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে নালার পানি দুষিত হয়ে বর্তমানে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জানা গেছে, পটিয়া পৌর সদরের আল মদিনা প্লাওয়ার মিল থেকে শুরু করে পটিয়া ইন্দ্রপুল এলাকায় যেসব ড্রেন রয়েছে এতে বিদ্যুত অফিসের খুঁটিসহ বিভিন্ন মালামাল ফেলে রাখা হয়েছে। যার কারণে পানি জমে দুর্গন্ধে ছড়াচ্ছে। পটিয়া পৌর কাউন্সিলর গোফরান রানা জানিয়েছেন, উপজেলা সদর থেকে শুরু করে পল্লী বিদ্যুত এলাকায় পৌরসভার যে ড্রেন রয়েছে তাতে ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর। মূলত পল্লী বিদ্যুত ও সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের মালামাল ড্রেনের ওপর ফেলে রাখার কারণে এ পরিস্থিতি হয়েছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে তারা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুত ও সওজ কর্তৃপক্ষ অবৈধ সরঞ্জাম না সরানোর কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে নোটিশ প্রদান করেছেন। আগামী বর্ষা মওসুমের আগে ড্রেনের মাঝামাঝিতে রাখা বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো না গেলে জলাবদ্ধতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।পটিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবু আকবর ছিদ্দিকী বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ যে নোটিস দিয়েছেন তা যৌক্তিক নয়। কারণ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ড্রেনের কিছু অংশ ভরাট করে ফেলার কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে পড়েছে।
×