ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কালভার্টে ভবন নির্মাণ ॥ নিষ্কাশন বন্ধ, দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২ মার্চ ২০১৮

কালভার্টে  ভবন নির্মাণ ॥ নিষ্কাশন বন্ধ, দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১ মার্চ ॥ আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হাজার টাকার বাঁধ সংলগ্ন বৌসের খালের কালভার্ট দখল করে ভবন নির্মাণ করেছে প্রভাবশালী মন্নান হাওলাদার। কালভার্ট দিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ওই এলাকায় দুই হাজার কৃষকের রবি ও বোরো চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন, কালভার্ট দখল করে ভবন নির্মাণে বাধা দিলেও প্রভাবশালী মন্নান হাওলাদার তা উপেক্ষা করে ভবন নির্মাণ করছে। জানা গেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হাজার টাকার বাঁধ সংলগ্ন বৌসের খালে ২০০০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কালভার্ট নির্মাণ করে। এতে খালে পানি সরবরাহ সচল হয়। ওই এলাকার হাজার হাজার কৃষক কৃষি কাজে সুবিধা পায়। গত বছর প্রভাবশালী মন্নান হাওলাদার ওই কালভার্ট দখল করে ভবন নির্মাণ করে। কালভার্টের পিছনে বাঁধ দিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে কৃষকের রবি ও বোরো চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকলে বৃষ্টির দিনে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা আনিসুর রহমান খান জানান, কালভার্ট দখল করে ভবন নির্মাণ করায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ওই এলাকার কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তিনি আরও জানান, ভবন নির্মাণে স্থানীয় লোকজন বাধা দিয়েছিল কিন্তু মন্নান হাওলাদার সে বাধা উপেক্ষা করে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণ করছে। এ কালভার্ট দিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকলে বৃষ্টির সময়ে ভয়াবহ জলাবন্ধতা দেখা দিবে। জালাল ও জলিল হাওলাদার বলেন, খালে বাঁধ দিয়ে ভবন নির্মাণ করায় খাল শুকিয়ে গেছে। এতে তরমুজ ক্ষেতে পানি দিতে পারছি না। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো কালভার্ট দখল করে ভবন নির্মাণ করছে মন্নান হাওলাদার। কালভার্টের পিছনে খালের মধ্যে ভবনের ছয়টি পিলার পুঁতে রেখেছে। কালভার্টের পিছনে বাঁধ দিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্নান হাওলাদার বলেন, বৌসের খালের কালভার্ট আমার রেকর্ডীয় জমিতে। মানুষের সুবিধার জন্য কালভার্ট নির্মাণ করতে দিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, ওই রেকর্ডীয় সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ করেছি।
×