ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২ মার্চ ২০১৮

উবাচ

শেখাতে পারিনি স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ‘রাজনীতি শেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন’ বলে আক্ষেপ করেছেন তার এক সময়ের শিক্ষক বিএনপিপন্থী পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেন তাহলে ঘরে করুন, অফিসে করুন, রাস্তায় কেন? জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন কেন? কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এমাজউদ্দীন বলেন, আমার এককালীন ছাত্র আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল, তিনি বলেছেন- ঘরের মধ্যে থেকে রাজনীতি করেন অথবা অফিসে বসে রাজনীতি করেন। অফিসে বসে যে রাজনীতি হয় না, ঘরের মধ্যে থেকে যে রাজনীতি হয় না- এখন এই তরুণকে আমি কেমন করে শেখাব? শেখাতে পারিনি হয়ত, আমাদের ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথাটা ‘খানিকটা’ শুনে রাখা ভাল বলে মন্তব্য করে এমাজউদ্দীন বলেন, এভাবে দিন চললে তারপর পরিস্থিতি এমন অবস্থায় আসবে যখন আপনা-আপনি গতিটা দ্রুত হবে। হিংসাত্মক হওয়ার দরকার নেই। এজন্য অপেক্ষা বেশি দিন করার দরকার হবে না। কারণ, হিংসা-প্রতিহিংসা, নতুন হিংসা-প্রতিহিংসার জন্ম দেয়। বৃদ্ধ মনে করি না! স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ক্ষমতায় না দেখা পর্যন্ত আমি নিজেকে বৃদ্ধ মনে করি না। ইনশাআল্লাহ আমি এগিয়ে যাব তরুণের মতো। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসনে নয়, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলেই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকবে। জাপা কোন প্রতিহিংসা বা জ্বালাও-পোড়াও এবং হরতাল ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। আমরা জনগণের বন্ধু। তিনি বলেন, আমার ৯ বছরের শাসনামলে উপজেলা ও জেলা প্রবর্তন করেছি। সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছি। উপজেলা পর্যায়ে আদালত করেছি। তারপরও বিএনপি সরকার আমাকে ৬ বছর কারাগারে পাঠিয়ে নির্যাতন করেছে। আমরা কী ? স্টাফ রিপোর্টার ॥ চার বছর পর রওশন এরশাদ বুঝতে পেরেছেন তার দলের সম্মান চলে যাচ্ছে। তিনি পরিচয় দিতেও সংকোচ বোধ করেন। সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় রওশন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম আমাদের মন্ত্রীগুলোকে উইথড্রো করে নেন। আপনি সেটা করেন নাই। রওশন বলেন, আপনি যদি বলতে পারতেন, মন্ত্রিত্ব ছাড়েন। আমরা বলতে পারি না। এটা আপনি করলে জাতীয় পার্টি বেঁচে যেত। সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারত। আমরা সম্মানের সঙ্গে নাই। এক বছর আছে আরও, সেটা দেখেন। এ সময় সরকারী দলের দিক থেকে মাইক ছাড়াই বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পার্টির নেতাদের মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বলেছেন। তখন রওশন বলেন, আপনি নির্দেশ দিলে মানবে না কে ? না, দেন নাই। নাহলে সবাইকে নিয়ে নেন। সবাইকে মন্ত্রী বানিয়ে দেন। হয় বিরোধীদল হতে হবে, না হয় সরকারী দল হতে হবে। বিরোধী দলের দরকার নেই। খানিকটা উত্তেজিত কণ্ঠে এরশাদপতœী রওশন আবার বলেন, আমাদের ৪০ জনকে সরকারী দলে নিয়ে যান। আমরা তো বলতে পারি না। সবাইকে নিয়ে নেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা লাগে। আমরা সরকারী, না বিরোধী দল ? বিদেশে গেলে বলতে পারি না আমরা কী ?
×