ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেই স্টোকসই জেতালেন ইংল্যান্ডকে

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ১ মার্চ ২০১৮

সেই স্টোকসই জেতালেন ইংল্যান্ডকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্রিস্টলে পানশালার বাইরে মারামারি বাধিয়ে ছয় মাস দলের বাইরে ছিলেন। তবু আইপিএলের নিলামে তাকে নিয়ে ছিল কাড়াকাড়ি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে এ্যাশেজে জো রুটরা যখন নাস্তানাবুদ হলো তখনও স্টোকস, স্টোকস বলে রব উঠেছিল। ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার আসলে কতটা ফ্যাক্টর, সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই সেটি টের পেল নিউজিল্যান্ড। বেন স্টোকসের দুরন্ত অলরাউন্ড পারফর্মেন্সের কাছে কিউইরা হারল ৬ উইকেটে। প্রথমে বল হাতে ২ উইকেট নিলেন ইংলিশ ক্রেজি বয়, প্রতিপক্ষ অলআউট ২২৩ রানে। সঙ্গে দুটি রানআউট। পরে ৭৪ বল ৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৩৭.৫ ওভারেই দলকে জয়ের (২২৫/৪) বন্দরে ভিড়িয়েছেন। প্রত্যাবর্তনের দ্বিতীয় ম্যাচে তাই অবধারিত ম্যাচসেরা স্টোকস। ১-১ এ সমতায় ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড। ইনজুরির জন্য এদিন মাঠে নামতে পারেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়মসন, নেতৃত্ব দিয়েছেন টিম সাউদি। শনিবার ওয়েলিংটনে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে। মাউন্ট ম্যাঙ্গানিউয়ের ম্যাচে ইংলিশদের বোলিং ছিল ভালো-মন্দ মিশেল, তবে ফিল্ডিং এক কথায় অবিশ্বাস্য। চার-চারটি রানআউট করেছে মরগানরা, নিজেদের যা রেকর্ড। এর দুটিতেই অবদান আলোচিত স্টোকসের। উইলিয়ামসনের স্থলে নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামা হংকং বংশোদ্ভূত মার্ক চ্যাপম্যান ফেরেন ১ রান করে। তার আগে ওপেনার কলিন মুনরোও (১) তাই। বিপদ দেখে আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিল নিজের সহজাত খেলার সঙ্গে আপোস করে আগলে রাখেন একপ্রান্ত। কিন্তু ৮৭ বলে ৫০ করে ফেরেন তিনিও। মিডল অর্ডারে প্রথম ম্যাচে জয়ের দুই নায়ক রস টেইলর ও টম লাথাম এদিন পারেননি দলকে উদ্ধার করতে। সাতে নেমে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম চেষ্টা করেছিলেন পাল্টা আক্রমণের। চারটি চার ও এক ছক্কায় তার ৩৮ রানের ইনিংস শেষ হয় রানআউটে। ১৪৭ রানে ৮ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। নবম উইকেটে ৬৯ রানের জুটিতে দলকে দুই শ’ পার করেন মিচেল স্যান্টনার ও লুকি ফার্গুসন। হ্যামিল্টনে ২৭ বলে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়েছিলেন স্যান্টনার। এদিনও হার মানেননি, ৫২ বলে অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে। মূলত তার সৌজন্যেই সম্মানজনক স্কোর পায় নিউজিল্যান্ড। অল্প পুঁজি নিয়েও লড়াইয়ের চেষ্টা করে কিউইরা। জেসন রয় ও জো রুটকে জমে বসতে দেননি ট্রেন্ট বোল্ট। তবে দারুণ সব শটে চাপটা সরিয়ে দেন জনি বেয়ারস্টো। ৩৯ বলে ৩৭ রান করা বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে পরে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ৮৬। কিন্তু অধিনায়ক মরগান ও স্টোকসের স্ট্রোকের দ্যুতিতে ম্লান হয়ে যায় সব। চতুর্থ উইকেটে ৮৮ রানের জুটি গড়েন দু’জন। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬২ রান করে ফেরেন মগরগান। স্টোকস কাজ শেষ করে ফেরেন জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে। গড়েন ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ রানে অপরাজিত স্টোকস। বাটলার অপরাজিত ৩৬। ওয়ানডেতে রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের এটি টানা দশম জয়। বিপরীতে টানা নয় জয়ের পর থামল নিউজিল্যান্ড। স্কোর ॥ নিউজিল্যান্ড ॥ ২২৩/১০ (৪৯.৪ ওভার; গাপটিল ৫০, মুনরো ১, চ্যাপম্যান ১, টেইলর ১০, লাথাম ২২, নিকোলস ১, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩৮, স্যান্টনার ৬৩*, সাউদি ৬, ফার্গুসন ১৯, বোল্ট ২; ওকস ২/৪২, মঈন ২/৩৩, স্টোকস ২/৪২)। ইংল্যান্ড ॥ ২২৫/৪ (৩৭.৫ ওভার; রয় ৮, বেয়ারস্টো ৩৭, রুট ৯, মরগান ৬২, স্টোকস ৬৩*, বাটলার ৩৮*; বোল্ট ২/৪৬, ফার্গুসন ১/৪৮, মুনরো ১/২৩)। ফল ॥ ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ স্টোকস (ইংল্যান্ড)। সিরিজ ॥ পাঁচ ওয়ানডে ১-১এ চলমান।
×