ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লিয়াকত হোসেন খোকন

ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১ মার্চ ২০১৮

ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব

ঢাকার রাস্তাঘাটে আজ শব্দদূষণে নগরবাসী বড়ই অস্থির। প্রায় প্রতিটি রাস্তায়, অলিগলিতে যানবাহনের বিকট শব্দ যে কোন সুস্থ মানুষকে করে তুলছে অসুস্থ। শব্দদূষণে নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নগরীর সব বয়সী মানুষ। রাস্তাঘাটের যানবাহনের শব্দদূষণ দূর করতে পারে ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ। যে যানবাহনগুলো বিকট আওয়াজ দিয়ে চলাচল করে, সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোকে আইনের আওতায় এনে জরিমানা করার ব্যবস্থা করা গেলে শব্দদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব। রাস্তাঘাটে মাইকে গানবাজনাসহ বিভিন্ন অযৌক্তিক প্রচারণা নিষিদ্ধও করতে হবে। কেননা, মাইকিং প্রচারণা প্রায়শঃ মানুষকে অসুস্থ করে তোলে। রাস্তার যানবাহনের কালেধোঁয়া তো আরও মারাত্মক। পথচলা কিংবা যানবাহনে চলাচলকারী মানুষকে জটিল রোগে আক্রান্ত করে তুলছে। এদিকে ঢাকা নগরীর অধিকাংশ বাড়িঘর, ফ্ল্যাট এতটা লাগোয়া যে এক ফ্ল্যাটে জোরেশোরে গান বাজানোর কারণে পাশের ফ্ল্যাটের অসুস্থ লোকটি আরও অস্থির ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। কেউ কেউ রাতে এমন জোরে গান বাজায়, যে কারণে পাশের বাসার বৃদ্ধ ব্যক্তিটি ঘুমাতেও পারে না। ফ্ল্যাটে বসে যারা জোরে জোরে গান বাজান তারা রীতিমতো অসামাজিক কিংবা বিবেকহীন - এরা এক ধরনের মানসিক রোগীও বটে। নচেত কি আর তারা জোরে জোরে গান বাজাতেন। দেখা যায়, অনেকে নিজ ফ্ল্যাটে বসে এটা ওটা মেরামতের নামে রাতের বেলাতেই বিকট শব্দ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে- এও এক অস্বস্তি নিচের ফ্ল্যাটে বসবাসকারী মানুষদের জন্য। এতে করে কান ঝালাপালায় অনেকে অসুস্থ হয়েও পড়েন। আসল কথা হলো, প্রতিটি মানুষের মধ্যে সচেতনতা চাই। সবাই সচেতন হলেই শব্দদূষণ দূর করা সম্ভব হবে। শব্দদূষণ যে ক্ষতিকর - এ ব্যাপারে সবাইকে জাগ্রত করে তোলা জরুরী। রূপনগর, ঢাকা থেকে
×