ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুবির রেজিস্ট্রারের পদ থেকে মজিবুরকে প্রত্যাহার ॥ তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কুবির রেজিস্ট্রারের পদ থেকে মজিবুরকে প্রত্যাহার ॥ তদন্ত শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ॥ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের পদ থেকে মজিবুর রহমান মজুমদারকে প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহেরকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের চলতি দায়িত্বে পদায়ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরীর নির্দেশক্রমে উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ দলিলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এ আদেশ মঙ্গলবার জারি করা হয়। এদিকে মজিবুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে একাধিক সংস্থা। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে মজিবুর রহমান মজুমদারকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পদসহ দায়িত্ব দেয়া হয়। সূত্র জানায়, মজিবুর রহমান মজুমদারের বিরুদ্ধে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জমির ব্যবসা, মাটির ব্যবসা, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বই-বাসক্রয়, ঠিকাদারী ব্যবসাসহ নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছিল। ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে তার ভগ্নিপতি রকিব উদ্দিনকে কম্পিউটার অপারেটর কাম ডাটা প্রসেসর, ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হাবিবুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চালক পদে, খালাতো ভাই সম্পর্কীয় সাইফুল ইসলামকে (মাদ্রাসা ছাত্র) চতুর্থ শ্রেণীর পদে নিয়োগ দেন। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণীর ৭৪টি পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬৪ জনকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে নিয়োগ পাইয়ে দেন বলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। সূত্র মতে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুবাদে অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেন এই কর্মকর্তা। এর আগে ২০০৯ সালের ১২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. জেহাদুল করিম এক আদেশে মজিবুর রহমানকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে ওএসডি করেছিলেন। ওই আদেশে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূত কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকা, যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা ও বয়সের ঘাটতি থাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থবিরোধী নানাবিধ কাজে লিপ্ত থাকা, অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকা, অফিস চলাকালে ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনা করাসহ গর্হিত বিভিন্ন কর্মকা-ের বিষয় উল্লেখ করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা বিগত সময়ে তার বিরুদ্ধে উপাচার্যের নিকট হয়রানি ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকা-ের অভিযোগ করেন। এদিকে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতিসহ নানান অভিযোগের তদন্ত করছেন জেলা পুলিশের দুইজন কর্মকর্তা ছাড়াও সরকারের একাধিক সংস্থা তার দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
×