ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘শান্তিতে ঘুমাতে বিশ্বকাপ দরকার মেসির’

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

‘শান্তিতে ঘুমাতে বিশ্বকাপ দরকার মেসির’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সব জেতা হয়ে গেছে। শুধু বাকি স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি। ২০১৪ বিশ্বকাপে তীরে এসেও ডোবাতে হয়েছে তরী। শুধু তাই নয়, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে টানা দুই কোপা আসরের ফাইনালেও হারের তেতো স্বাদ পান। এবার ২০১৮ বিশ্বকাপে অনেক কষ্টে উঠে এসেছে আর্জেন্টিনা। তবে মূল আসরে আর হতাশা চান না মেসি। এবার ছুঁয়ে দেখতে চান সোনার ট্রফি। এক সাক্ষাতকারে গত জানুয়ারিতে এমনই জানিয়েছেন বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন তারকা। মেসির যে বিশ্বকাপ প্রাপ্য বা জেতা উচিত এটা মনে করেন আরও অনেকে। এই যেমন আর্জেন্টাইন টেনিস তারকা জুয়ান মার্টিন ডেল পেত্রো মনে করেন, রাতে শান্তিতে ঘুমানোর জন্য হলেও মেসির একটা বিশ্বকাপ দরকার। টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারলেও পেত্রো মনে করেন, চতুর্থবার মেসির প্রতি ভাগ্যদেবী সহায় হবেন। গত তিন বছরে টানা তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে প্রতিবারই আর্জেন্টিনাকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ মুহূর্তে জার্মানির বিপক্ষে গোল খেয়ে শিরোপা হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। পরের দুই বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হারে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনাকে প্রায় একাই বাছাইপর্বের বাধা পার করেছেন অধিনায়ক মেসি। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মেসির হ্যাটট্রিক না হলে রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইনদের দর্শক হয়েই থাকতে হতো। ১৯৭০ সালের পর এতটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে তারা বিশ্বকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে। মেসির চারটি ইউরোপিয়ান কাপ, আটটি লীগ টাইটেল, তিনটি ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ, পাঁচটি ব্যালন ডি’অর একটি বিশ্বকাপের কাছে তুচ্ছ, নগণ্য। এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপ মেসির জন্য তাই বাঁচা-মরার লড়াই। এটাই হয়তো মেসির শেষ সুযোগ বিশ্বকাপ জিতে সর্বকালের সেরাদের কাতারে জায়গা করে নেয়ার। প্রিমিয়ার ইন্টারন্যাশনাল টিম ইভেন্ট ডেভিস কাপে কখনও জিততে পারেননি ডেল পেত্রো। এমনকি ১৯৮১ সালের পর চারবার আর্জেন্টাইন টেনিস তারকারা ডেভিস কাপের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা অধরাই রয়ে যায়। তাই মেসির কষ্টটা একটু বেশিই বোঝেন এই ২৯ বছর বয়সী তারকা। টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের ৯ নম্বরে থাকা পেত্রো আশা করেন, এবারই বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে পারবে আর্জেন্টিনা। তিনি বলেন, আমি জানি, তাকে (মেসি) কতটা ভুগতে হয়েছে। বিশ্বকাপটা তারই প্রাপ্য। অন্তত রাতে শান্তিতে ঘুমানোর জন্য হলেও। বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে মেসি বলেন, বিশ্বকাপে থাকতে না পারলে সেটা হতো পাগলামি। আমাদের দলটা চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার যোগ্য। বিশ্বকাপ (২০১৪) এবং দুটি কোপা আমেরিকায় যা ঘটেছে, সেটা ছিল অবিচার। আমরা এ বিশ্বকাপেও (২০১৮) অনেক কষ্টে উঠেছি, আশাকরি আবারও সুযোগ পাব। ক্ষুদে জাদুকর বলেন, কে না চায় বিশ্বকাপ জিততে। আমরা সেটাই চেষ্টা করব আরেকবার। ফুটবল থেকে অবসর নিলে কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, অবসর নেয়ার পর হয়তো কোচ হব না। তবে এখনও অনেক সময় আছে। হয়তো ভাবনাটা পাল্টাতেও পারি। ব্যস্ত জীবনে ফুটবলটাই আসল মেসির কাছে। তবে বাবা হওয়াটাই নাকি তার সেরা অনুভূতি। এ প্রসঙ্গে মেসি বলেন, আমি সাধারণ জীবনযাপন করি। মাঝে মধ্যে মনে হয় পরিবার নিয়ে রাস্তায় হাঁটার সময় ভক্তরা যদি আমাকে ঘিরে না ধরতো সবসময়। আর বাবা হতে পারাটা অবিশ্বাস্য অনুভূতি। এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা ঘটনা। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনাকে লড়তে হবে আইসল্যান্ড, নাইজিরিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। ১৫ জুন আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ নবাগত আইসল্যান্ডের বিপক্ষে।
×