ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে

মানুষের ঘৃণাকে সোচ্চার করতে তথ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মানুষের ঘৃণাকে সোচ্চার করতে তথ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ জঙ্গী তৎপরতাকে নতুন প্রজন্ম কর্তৃক ঘৃণা প্রদর্শন ও জঙ্গীবাদিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার মানসিকতা তৈরিতে তথ্য মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গী তৎপরতা এবং মানুষ হত্যার মত মানবতাবিরোধী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে তথ্য মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করে তাদের মুখোশ উন্মোচনসহ প্রকৃত ঘটনা দেশবাসীকে অবগত করছে। ফলশ্রুতিতে সহিংস ও অমানবিক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। মন্ত্রী জানান, গুলশানের হলি আর্টিজানসহ সকল জঙ্গী তৎপরতা এবং সকল সহিংস ও মানবতাবিরোধী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ সকল বেসরকারী ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ব্যাপক প্রচার চালায়। এতে করে এসব কর্মকা-ের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি সম্ভব হয়। তিনি জানান, নতুন প্রজন্ম কর্তৃক জঙ্গী তৎপরতার প্রতি আজীবন ঘৃণা প্রদর্শন ও জঙ্গীবাদিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর কর্তৃক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র/তথ্যচিত্র প্রদর্শন/অনুষ্ঠান প্রচার কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে চলমান রয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক দেশ। জঙ্গী তৎপরতার সঙ্গে যুবসমাজ ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যেন জড়িত হতে না পারে সে বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর কর্তৃক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেয়াসহ গণযোগাযোগ অধিদফতরের সহায়তায় মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। এধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, তথ্য অধিকার আইনটি জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রচারের জন্য প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিপুল প্রচার করা হচ্ছে। অভিযোগ শুনানিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রিন্ট মিডিয়ার বিপুলসংখ্যক প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন এবং নিয়মিতভাবে দৈনন্দিন কার্যকলাপ প্রতিবেদন হিসেবে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, তথ্য অধিকার আইনের সহায়ক হিসেবে কাজ করে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে এ বিষয়ে ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ থেকে বাস্তবায়নের শুরু থেকে প্রতিবছর জনঅবহিতকরণ সভা, তথ্য প্রাপ্তির আবেদন, আপীল নিষ্পত্তি ও অভিযোগ নিষ্পত্তির সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে প্রতি বছর বেড়ে যাচ্ছে। এখানে কোন ব্যর্থতা নেই, বরং সফলতা রয়েছে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের দর্শক খরার অভিযোগ অস্বীকার করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বিটিভির দর্শক জনপ্রিয়তা কম তা সত্য নয়। ২০১৭ সালের মে মাসে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ২ হাজার ৩৭২ জন দর্শকের কাছে প্রশ্নমালা প্রেরণ করে জরিপ করা হয়। উক্ত জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী শতকর ৮০ ভাগ দর্শক বিটিভি দেখেন। বেসরকারী যে কোন টিভি চ্যানেলের দর্শক সংখ্যার তুলনায় বিটিভির দর্শক বেশি। তাই বিটিভির দর্শক কমে গেছে তা ভাবার কোন কারণ নেই।
×