ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জোড়া মাথার রাবেয়া রোকাইয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জোড়া মাথার রাবেয়া রোকাইয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাবনার চাটমোহরে জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম নেয়া শিশু রাবেয়া-রোকাইয়ার অস্ত্রোপচারের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে হাঙ্গেরী থেকে আসা দু’জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের এ প্রাথমিক ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। তবে জোড়া মাথার শিশু রাবেয়া ও রোকাইয়ার অস্ত্রোপচার জটিল কাজ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রথমে তাদের মাথার রক্তনালী আলাদা করা হবে। এরপর তাদের মাথা ধীরে ধীরে আলাদা করা হবে।’ মঙ্গলবার সকালে জোড়া মাথার শিশু দু’টির এনজিওগ্রাম শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় কার্ডিওলজি বিভাগে রাবেয়া ও রোকাইয়ার এনজিওগ্রাম শুরু হয়। বেলা এগারোটার দিকে তা শেষ হয়। এরপর বার্ন ইউনিটের তৃতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডাঃ সামন্তলাল সেন বলেন, ‘তাদের অপারেশন অত্যন্ত জটিল। তবে, এছাড়া কোন উপায় নেই। তাদের মা-বাবা এটা চাইছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা এই কাজটা করতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাদের অপারেশনটি নিউরো সার্জারির অংশ। তাদের অজ্ঞান করাটা খুব কঠিন ছিল। আজকে মঙ্গলবার আমরা তাদের এনজিওগ্রাম করার মাধ্যমে প্রথম ধাপটি অতিক্রম করলাম। বুধবার তাদের আরও কিছু পরীক্ষা করা হবে। এরপর বলা যাবে, শিশুদের কী অবস্থা। তাদের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। তাদের মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল আলাদা করতে হবে। না হলে কোনদিনই তাদের দু’জনকে আলাদা করা যাবে না। তাদের চিকিৎসা করতে বছরখানেক সময় লাগবে।’ নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে এই ধরনের শিশুদের চিকিৎসার জন্য সার্জারি করা হতো। যেখানে ৮০ ভাগ ফেইলিউর ছিল। তাদের ব্রেইনটা এক হয়ে আছে। হাড় রক্তনালী এক হয়ে আছে। আমরা তাদের ধমনীগুলো কেমন, তা দেখেছি। শিরাটাকে মূল টার্গেট করে আমরা শিরা বরাবর ব্রেইনটাকে আলাদা করব। একটু একটু করে শিরা বন্ধ করে দেখব, শিশু দু’টি কমর্ফোটেবল কিনা। এজন্য আমরা সময় নেব।’ বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম বলেন, ‘তাদের কোন না কোন সময় সেপারেশনে যেতেই হবে। তাদের মা-বাবা এটা চাইছে। আমরা সবাইকে জানিয়েই তাদের বিষয়ে এগোচ্ছি। এখন সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।’
×