ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনকে সনাক্ত

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনকে সনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে টিপুরদী (রতনদি) এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে লরির সংর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশের (ওসি) আব্দুল কাউয়ুম বলেন, মামলা করার জন্য থানায় এজাহার পাঠানো হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ বাদি হয়ে ওই বাসের চালক ও হেলাপারকে আসামী করে মামলা করা হচ্ছে। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের মধ্যে আটজনের পরিচয় মিলেছে। ঘটনাস্থলে নিহত ২ জন ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন নিহতদের মধ্যে ২ দুইজনের পরিচয় মিলেছে। বাকি দুইজন পুরুষের পরিচয় এখনো সনাক্ত করা যায়নি। ওই দুইজনরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসক ( টিএস ) ডা: তানভীর আহমেদ। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম জানান, সোনারগাঁয়ের টিপুরদি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, কাতার প্রবাসী ইলিয়াছ হোসেন,(২৮), ছেলে ইনান (৮) ভাই মফিজ (৪৭) বোন মিনুয়ারা (৩৫)। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। ইলিয়াসের পিতার নাম মৃত লাল মিয়া। শুভ সাহা (১৮) তার গ্রামের বাড়ি চাদঁপুরের হাজিগঞ্জে। হেনা আক্তার (১৮) তার বাড়িও চাদঁপুরে। নিহত মিলন বেগম (৩০) তার বাড়ি সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায়। তিনি আরও জানান, নিহত ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত পাওয়া গেছে। এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা যাওয়া ৬ জনের মধ্যে একজনের ও সোনারগাঁয়ে মারা যাওয়া ২ জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশের (ওসি) আব্দুল কায়ুম সরদার জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসের কয়েকজন আহত যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকার সায়দাবাদ থেকে বাসটি ছিলো যাত্রীতে ঠাসা। এর মধ্যে পথে পথে আরো যাত্রীতোলা হয় বাসটিতে। সিট না পেয়ে অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাসটি মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের কিছু পরে একটি বেটারী চালিত রিক্সকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে রিক্সার যাত্রী সিটকে রাস্তার উপর পড়ে যায়। রিক্সাকে চাপাদেয়ার পর থেকে পালানো জন্য গাড়ির চালক আরো বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাতে শুরু করে। এসময় বাসের কয়েকজন যাত্রী বেপরোয়া গতিতে বাস না চালাতে চালককে অনুরোধ করেন। কিন্তু চালাক কোন কথা না শুনে নিজের ইচ্ছেমতো গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের টিপুরদী মুধুমতি সিএনজি স্টেশেনের রাস্তার বাকেও চালক গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। কিছুদুর যেতেই গাড়িটি একটি লাড়িকে (লং ভিহ্যাকেলকে ) পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে প্রায় ৬ থেকে ৭ ফুট ভেতরে ঢুকে যায়। গাড়ি ছাদ খুলে যায় এবং সামনে সহ গাড়ি যেসব যাত্রীছিলেন তারা সাবাই কম বেশী আহত হয়েছে। বিশেষ করে সামনে যে অংশটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে সে অংশে যার সিটি বসে বা দাঁড়িয়েছিলে তারাই হতাহত হয়েছেন বেশী। এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, টিপুরদি বাস লরির সংঘর্ষে ১০ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হওয়ার বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ তদন্ত করেছে। তবে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত থানায় কোন মামলার অভিযোগ আসেনি।
×