ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাবিতে শিবিরের ৯ নেতাকর্মীকে ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

রাবিতে শিবিরের ৯ নেতাকর্মীকে ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ কোচিং সেন্টারের আড়ালে নবীন বরণের নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিবিরের দাওয়াতি কার্যক্রম চালানোর সময় ১৬ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে তাদের আটক করে বঙ্গবন্ধু হলে জিজ্ঞাসাবাদে নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় স্কুল ও কলেজ ছাত্রসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থীকে ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এছাড়াও আরো সাত শিক্ষার্থীকে প্রক্টরের হেফাজতে ছেড়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আটককৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, রাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শামসুজ্জামান, সংস্কৃত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মিজানুর রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শাহরিয়ার তানজিম, মনিরুল ইসলাম ও একই বিভাগের প্রথম বর্ষের রহমতুল্লাহ ইসলাম, মো. মাসুম, রাজশাহী সিটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী তন্ময়, লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বি। তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ছাড়া পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, ইতিহাস বিভাগের সাদরুজ্জামান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মিজানুর রহমান ও খলিলুর রহমান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের আরিফুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের নাঈম ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের সুজন আলী, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের আমিনুল ইসলাম। তারা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগ নেতারা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফোকাস কোচিং সেন্টারের নবীন বরণের নামে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল শিবির নেতাকর্মীরা। এসময় তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাইফ করিম রুপম ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ডেকে পাঠান। এরপর তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বঙ্গবন্ধু হলের ২৩১ নম্বর কক্ষে নেয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে ৯ শিক্ষার্থীকে ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বাকিদের প্রক্টরের হেফাজতে ছেড়ে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এহসান মাহফুজ বলেন, আমরা খবর পাই, শহীদ মিনারে ফোকাস কোচিংয়ের নামে শিবির মিটিং করছে। এরপর রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে আমরা তাদের আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদ করে শিবিরের সঙ্গে নয় জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের পুলিশে দেয়া হয়েছে। প্রথম বর্ষের বাকি সাত শিক্ষার্থীর শিবির সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাদের আমরা প্রক্টর স্যারের জিম্মায় ছেড়ে দেই। নগরীর মতিহার থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, শিবির সন্দেহে নয় জনকে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রলীগ। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
×