ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অনির্বাণ একুশে নাট্যমেলায় ‘রূপসুন্দরী’

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অনির্বাণ একুশে নাট্যমেলায় ‘রূপসুন্দরী’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘অশনিগুলো হোক আনন্দধ্বনি’ স্লোগানে নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দর্শনা ডাকবাংলো চত্বরে অনির্বাণ থিয়েটারের উদ্যোগে শুরু হয়েছে আট দিনব্যাপী ‘এসিআই অনির্বাণ একুশে নাট্যমেলা’। নাট্যমেলা চলবে আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আট দিনব্যাপী আয়োজিত এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে সিরাজগঞ্জে নাট্যদল নাট্যলোক। উৎসবে তারা আজ দলের নতুন প্রযোজনা ‘রূপসুন্দরী’ নাটকের মঞ্চায়ন করবে। নাট্যলোক সিরাজগঞ্জের সপ্তম প্রযোজনা মাহবুব আলম রচিত ‘রূপসুন্দরী’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন অনিক কুমার সাহা। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেনÑত্বসিন, লাহিম, মমিনবাবু, জহুরুল রতন, রেজাউল, শাহানা, চিন্ময় সুত্রধর, টুটুল, আকাশ, বিপ্লব, ইমরান, আপন, তিতাস, রাফি, পাপ্পু, হাসেম, আবিদ এবং প্রান্ত। আর শিশির রহমানের আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনায় বাদ্যযন্ত্র এবং কণ্ঠ দিয়ে সহযোগিতা করছে বিন্তি ও বাপন। ‘রূপসুন্দরী’ নাটকের বিভিন্ন অংশে কোরিওগ্রাফি করেছেন ফারহানা কাক্সিক্ষতা এবং আলোক পরিকল্পনা করেছেন দেশের বিশিষ্ট আলোক নির্দেশক ঠান্ডু রায়হান। পু-্রে প্রায় হাজারবছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কেন্দ্রীয় চরিত্র শীলা দেবী। সতীত্ব রক্ষার জন্য খরস্রোতা করতোয়া নদীর জলে আপন প্রাণের আত্মাহুতি এবং তার লাশ ভেসে ওঠার স্থানে পুণ্য¯œান ও বান্নির মেলার আয়োজনÑসবই জনশ্রুতি ও কিংবদন্তীর আশ্রয়ঘটন। আবার এ ঘটনের ঐতিহাসিক ভিত্তিক্ষীণ স্পষ্ট। তবে ঘটনা যাই হোক, নাট্যকারের মনের পীড়া ছিল শীলাদেবীর আত্মাহুতি; তাও আবার সতীত্ব রক্ষার জন্য! সেই পীড়া দমনের নিমিত্তে আরও প্রায় নয় শ’ বছর এগিয়ে এসে ব্রিটিশ শাসনের ক্রান্তি লগ্নের সময়কে আশ্রয় করে একটি গল্পের রূপায়ন করেছেন নাট্যকার মাহবুব আলমÑতার নাম ‘রূপসুন্দরী’। ইতোমধ্যে দুটি মঞ্চায়নের পর নাটকটি দর্শক মহলে আশা জাগিয়েছে। প্রসঙ্গত, অনির্বাণ একুশে নাট্যমেলায় অংশগ্রহণকারী নাটকগুলো হলোÑ দর্শনার অনির্বাণ থিয়েটারের ‘হিং টিং ছট’, ঢাকার সংলাপ গ্রুপ থিয়েটারের ‘বোধ’, কলকাতার ঢাকুরিয়া থিয়েটারের ‘জিয়নকন্যা’, রাজশাহীর অনুশীলন নাট্যদলের ‘ম্যাওসংকেত্তন’, এবং কলকাতার নাট্যায়ূধের ‘বিষ তর্পণে বিসর্জন’।
×