ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কা সফরে প্রধান কোচ ওয়ালশ

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

শ্রীলঙ্কা সফরে প্রধান কোচ ওয়ালশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে নবেম্বরেই পদত্যাগ করেন চান্দিকা হাতুরাসিংহে। এরপর থেকেই প্রধান কোচের সন্ধানে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে সেই খোঁজাখুঁজিতে কোন গতি নেই কিংবা বিসিবি তেমন গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে বলেই মনে হচ্ছে না। কারণ মাঝে দেড় মাসব্যাপী ঘরের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরমেটে প্রধান কোচ ছাড়াই খেলেছে বাংলাদেশ দল। এবার শ্রীলঙ্কার মাটিতে আসন্ন নিদাহাস ট্রফি টি২০ ত্রিদেশীয় সিরিজেও স্থায়ী কোন প্রধান কোচ ছাড়াই নামবে। বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে এই সিরিজের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিসিবি। আর ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ ও ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন কোন কোচিং ভূমিকায় থাকছেন না। ওই পদটি বিলুপ্তই করা হয়েছে এবং আবারও সুজন জাতীয় দলের ম্যানেজার পদে ফিরে যাচ্ছেন শ্রীলঙ্কা সফর থেকেই। সোমবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এসব জানিয়েছেন। ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ, দুই ম্যাচের টেস্ট ও টি২০ সিরিজে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে তিনিই মূলত প্রধান কোচের ভূমিকায় ছিলেন। সহকারী কোচ হিসেবে ছিলেন রিচার্ড হ্যালসল ও কোর্টনি ওয়ালশ। তবে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য নিদাহাস ট্রফিতে সবার ভূমিকাতেই আসছে পরিবর্তন। বোলিং কোচ ওয়ালশকে এ সিরিজের জন্য আপাতত প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘এই সিরিজে ওয়ালশকেই কোচের ভূমিকায় রাখা হয়েছে। ওয়ালশ অভিজ্ঞ কোচ। খেলোয়াড়রা সবাই তাকে মানবে। এই চিন্তা থেকেই তাকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র নিদাহাস ট্রফির জন্য। আমরা বাইরে থেকে একজন আনার চেষ্টা করছি, সেটা এই সিরিজের আগে সম্ভাবনা নাই। তার সঙ্গে আগে আমি কথা বলেছিলাম, গত সিরিজ নিয়ে। এই সিরিজ নিয়ে আমি সবার সঙ্গেই করেছিলাম।’ সুজন তার ভূমিকায় দলকে ভাল কিছু উপহার দিতে পারেননি। ঘরের মাটিতে লজ্জাজনক ভরাডুবি হয়েছে দলের। এ কারণে সুজন নিজেও আর থাকতে চাইছেন না কোচিংয়ের কোন ভূমিকায়। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে থাকছে না (সুজন)। ব্যাপারটা হলো পরিচালকরা যাবে। পরিচালকদের মধ্যে সুজনও থাকতে পারে। আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা হচ্ছে সুজনও যাক, ওখানে টিম ম্যানেজার হিসেবে যে দায়িত্ব পালন করার কথা সেটাই করুক। ওর সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা হয়নি।’ পাপন জানিয়েছেন ব্যাটিং কোচ হিসেবে ইতোমধ্যেই একজনকে নেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তা নিশ্চিত করতে আরেকটু সময় লাগবে। আর একাধারে পেস বোলিং কোচ হিসেবেই কাজ করবেন ওয়ালশ। ২০০১ সালে অবসরের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়ার পর কোচিং ক্যারিয়ারে এটাই ওয়ালশের বড় কোন দায়িত্ব। ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর অনেক নাটকীয়তার পর বিসিব ওয়ালশের নাম ঘোষণা করে বোলিং কোচ হিসেবে। বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়ার আগে ওয়ালশ ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে, নির্বাচক হিসেবে এমনকি সিপিএল-এ পরামর্শক হিসেবে জ্যামাইকার হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ-১৯ দলের ম্যানেজার হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশে আসার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচক প্যানেলের দায়িত্বেও ছিলেন। তবে কোচিং ক্যারিয়ারে এবারই সর্বোচ্চ একটি দায়িত্ব পেলেন এ কিংবদন্তি পেসার।
×