ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মৌসুম শুরুর আগেই ঝড়, বজ্র্রবৃষ্টি ॥ ফসলের ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মৌসুম শুরুর আগেই ঝড়, বজ্র্রবৃষ্টি ॥ ফসলের ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মৌসুম শুরুর আগেই দেশের কয়েক জেলায় সোমবার আঘাত হেনেছে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়। হঠাৎ ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে উঠতি ফসলের। সারাদেশের মতো রাজধানীতেও দমকা হাওয়ার পাশাপাশি দেখা মিলেছে একপশলা বৃষ্টির। তবে বৃষ্টিতে নগরবাসী ধুলা দূষণের হাত থেকে একদিনের জন্য হলেও রেহাই পেয়েছে। বৃষ্টি না থাকায় অনেক এলাকার মতো রাজধানীতেও ধুলা আধিক্য অনেক বেড়ে যায়। ধুলার কারণে দিনের বেলায় নাকে রুমাল ব্যবহার ছাড়া চলাফেরায় মুশকিল হয়ে পড়েছিল। এ অবস্থায় এক পশলা বৃষ্টি স্বস্তি বয়ে এনেছে নগরবাসীর জীবনে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে রবিবার রাত সাড়ে ৩টা থেকেই হঠাৎ করে রাজধানীতে দমকা বাতাস বইতে শুরু করে। এ সময় থেমে থেমে মেঘের গর্জন শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় বৃষ্টি। আধা ঘণ্টা থেমে থেমে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত চলে। তবে রাজধানীতে বয়ে চলা কালবৈশাখীতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলা বই মেলার বিভিন্ন স্টলে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্টলের শামিয়ানা ছিড়ে যায়। রাজধানীর পাশাপাশি দেশের অন্যান্য এলাকায়ও বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েকস্থানে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া শিলাবৃষ্টির ফলে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মূলত পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তারা জানায় সোমবার ভোররাতে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে টাঙ্গাইলে। কালবৈশাখীর আঘাতে অনেকস্থানেই বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে এবার আগেই বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এমনকি এপ্রিল তাপমাত্র বেড়ে গিয়ে প্রচ- দাবদাহ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে আসছে গ্রীষ্মেই কালবৈশাখী থেকে শুরু করে বজ্রঝড়, শিলাবৃষ্টির আধিক্য থাকতে পারে। একই সঙ্গে তাপমাত্রার আধিক্য দেখা দিতে পারে। মার্চেই শুরু হতে পারে বজ্রপাতের মতো ভয়াবহ দুর্যোগ। এছাড়া এপ্রিল, মে মাসেও বজ্রপাতের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। মধ্য এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এ সময় অধিক তাপমাত্রার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের পৌঁছে যেতে পারে। সাগরেও দু’একটি নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ের দেখা মিলতে পারে। কিন্তু গ্রীষ্মকাল আসার আগেই শুরু হয়ে গেছে কালবৈশাখী। কয়েক জেলায় বজ্র্রবৃষ্টিসহ ঝড় ॥ মৌসুম শুরুর আগেই ফাল্গুনে বজ্রবৃষ্টি ও ঝড় ছোবল দিয়েছে রাজশাহী অঞ্চলে। রবিবার মধ্যরাতে হঠাৎই রাজশাহী অঞ্চলে বৃষ্টিসহ বজ্রঝড় হয়েছে। এতে আমের মুকুল, আলু ও গমের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষীরা। ময়মনসিংহ ॥ ভালুকার ওপর দিয়ে রবিবার রাতে আকস্মিকভাবে বয়ে যাওয়া ঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, গাছপালা, পোল্ট্রি খামার ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । নীলফামারী ॥ মধ্য ফাগুনে পাঁচ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে নীলফামারীজুড়ে। সোমবার সকাল সাতটার দিকে ওই বৃষ্টির সঙ্গে জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে শিলাও হয়। শিলাবৃষ্টির স্থানে তামাক ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।
×