ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক ১৩ ও ১৪ মার্চ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক ১৩ ও ১৪ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৩ মার্চ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার ধার্য তারিখে বেগম জিয়াকে আদালতে হাজির করা সংক্রান্ত আদেশ দেয়ার কথা ছিল। বিএনপি চেয়ারপার্সনের আইনজীবীরা জামিন বাড়ানোর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক ১৩ মার্চ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। একই সঙ্গে ১৩ ও ১৪ মার্চ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। ওদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তাকে আদালতে হাজির করার আবেদন করেন আদালতে। তিনি যুক্তি দেখান, এ মামলায় তাকে (খালেদা জিয়া) ছাড়া যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা যাবে না। তাই তাকে আদালতে উপস্থিত করার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেয়া হোক। সোমবার সিদ্ধান্ত দেয়ার সময় বিচারক বলেন, অন্য মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি) খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন। একই আদালত গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দিয়ে কারাগারে পাঠায়। ওই মামলায় খালেদার জিয়ার আপীল হাইকোর্ট শুনানির জন্য গ্রহণ করলেও তাকে জামিন দেয়া হবে কি না; তা জানা যাবে নিম্ন আদালত থেকে এতিমখানা দুর্নীতি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছানোর পর। বিএনপি নেত্রীর অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্কের শুনানির জন্য সোমবার জজ আদালত ১৩ ও ১৪ মার্চ যুক্তিতর্কের পরবর্তী তারিখ ঠিক করে দিয়েছে। খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ১৩ তারিখ পর্যন্ত । তিনি এর মধ্যে এতিমখানা মামলায় জামিন পেলে ওইদিন নিজেই আদালতে যেতে পারবেন। আর তা না হলে দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় তাকে হাজির করার জন্য তখন আদেশ দিতে পারেন বিচারক। সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় বিচারক মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। এদিন দুদকের প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে হাজিরা পরোয়ানা ইস্যুর আবেদন করেন। একই সঙ্গে আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক শুনানি শুরুর জন্য আবেদন করেন। ওই সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান বলেন, যেহেতু খালেদা জিয়া অরফানেজ মামলায় কারাগারে রয়েছেন। যা বিজ্ঞ আদালতের নোটিসে এসেছে। তাই তার অবর্তমানে যুক্তিতর্ক শুনানির সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন। আগামী ১ মার্চ উচ্চ আদালতে এক অনুষ্ঠান আছে। এদিকে নিম্ন আদালতে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের কপি তলব করেছে উচ্চ আদালত। এর সময় আগামী ৭ মার্চ শেষ হবে। এদিন জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালত রায় দেবে। আর আমরা আশা করছি আগামী ৭ মার্চের মধ্যে খালেদা জিয়া হাইকোর্ট থেকে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেয়ে যাবেন। তাই এখন যদি এই মামলায় হাজতি পরোয়ানা ইস্যু করা হয় তবে তার মুক্তি বিলম্বিত হবে। আমাদের অনুরোধ, হাজিরা পরোয়ানা ইস্যুর আবেদনটি আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত মুলতবি রাখা হোক। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ১৩ ও ১৪ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে ১৩ মার্চ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ওইদিন হাজতি পরোয়ানার বিষয়ে আদেশের পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুদকের পক্ষে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে হাজিরা পরোয়ানা ইস্যুর আবেদন করেন। গত রবিবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়। ওই দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা একই ভাবে বিরোধীতা করায় সোমবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
×