ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গেমিং ডিস অর্ডার আপনার বাচ্চা কি আসক্ত

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 গেমিং ডিস অর্ডার আপনার বাচ্চা কি আসক্ত

বিশ্বজুড়ে মানসিক রোগ একটি গুরুতর সমস্যা। তবে কারও এই সমস্যা মৃদু পর্যায়ে থাকে আবার কারও কারও ক্ষেত্রে এটি জটিল আকার ধারণ করে। বংশগত কিংবা ভয়, দুশ্চিন্তার মতো কারণ থেকেও মানসিক রোগের সূত্রপাত হতে পারে। তবে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দাবি করেছে, গেমিং ডিস অর্ডারের কারণেও মানসিক সমস্যার জন্ম হতে পারে। ২০১৮ সালে মানসিক সমস্যার তালিকাতেও গেমিং ডিস অর্ডারকে যুক্ত করতে চায় ডব্লিউএইচও। যারা প্রচুর পরিমাণে গেমস খেলে তারা যদি একই ধরনের আচরণের পুনরাবৃত্তি করে তাহলে তাকে ‘গেমিং ডিস অর্ডার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ডব্লিউএইচও। এই ধরনের আচরণের কারণে অনেক সময় মানুষ সহিংস হয়ে ওঠে যা কিনা তার ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, শিক্ষাজীবন এবং পেশাজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ডব্লিউএইচও’র মুখপাত্র গ্রেগরি হার্টল বলেন, নতুন আইসিডি-১১ তে গেমিং ডিস অর্ডারের বিষয়টিকে বেশ প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেমের কারণে মানুষের মধ্যে প্রভাব পড়তে পারে। অনলাইন কিংবা অফলাইন দুই ধরনের ভিডিও গেম খেলার কারণেই মানুষের মধ্যে মানসিক প্রভাব পড়তে পারে। ভিডিও গেমিং ডিস অর্ডারের কারণে যদি কারও মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তা প্রতিরোধ করার পাশাপাশি অবশ্যই চিকিৎসা করানো দরকার। ১৯৯০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পৃথিবীর একশটি দেশকে রোগীদের তথ্য ভাণ্ডার তৈরির উদ্দেশ্যে কর্মপরিকল্পনা (আইসিডি) করেছিল। সেই আইসিডি অনুযায়ী রোগীদের ওপর তথ্যভাণ্ডার তৈরি করে হাসপাতালগুলো। যা কিনা কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে কিংবা নির্দিষ্ট সময়ে কোন রোগীর ইতিহাস পর্যালোচনা করতে সাহায্য করে। ২০১৮ সালের মে মাসে প্রকাশ হতে যাওয়া আইসিডি-১১ তে যুক্ত হবে গেমিং ডিস অর্ডার ইস্যুটি। সূত্র : সিএনএন
×