ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সিতোলিনার রেকর্ড

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সিতোলিনার রেকর্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপসে টানা দুইবার শিরোপা জেতার রেকর্ড ছিল এর আগে দুইজনের। সাবেক বিশ্বসেরা জাস্টিন হেনিন হার্ডিন ও ভেনাস উইলিয়ামস এ আসরে পরপর দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। এবার তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন এলিনা সিতোলিনা। রাশিয়ার দারিয়া কাসাতকিনাকে ফাইনালে ৬-৪, ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইউক্রেনের এ তারকা শিরোপা জয় করেন। এটি তার ১১তম ডব্লিউটিএ শিরোপা। সিতোলিনা গত বছরটা দারুণ কাটিয়েছেন, ক্যারিয়ারসেরা র‌্যাঙ্কিং ৩ নম্বরে উঠে এসেছিলেন। তবে আবারও পিছিয়ে পড়েছেন। বর্তমানে চার নম্বর র‌্যাঙ্কিংধারী এ ২৩ বছর বয়সী তরুণীর জন্য দারুণ পয়মন্ত হয়ে এসেছিল দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপস। বেশ কয়েকজন ফেবারিট তারকা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে নাম প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু সিতোলিনাকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় সেমিফাইনালে। সেখানে সাবেক বিশ্বসেরা জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবার অপেক্ষা করছিলেন। সেই বাধাটাও সহজেই পেরিয়ে যান সিতোলিনা। প্রতিপক্ষ কাসাতকিনা চলতি বছরেই ক্যারিয়ারসেরা র‌্যাঙ্কিং ২৩ নম্বরে উঠে এসেছেন। ২০ বছর বয়সী এ রাশিয়ান তরুণীকে অবশ্য ফাইনালে তেমন সুযোগ দেননি সিতোলিনা। প্রথম সেটে কিছুটা লড়াই করতে পারলেও দ্বিতীয় সেটে হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়েন কাসাতকিনা। সবমিলিয়ে মাত্র ৭০ মিনিট স্থায়ী হয়েছে ম্যাচটি। শিরোপা জয়ের পর এ ইউক্রেনের সুন্দরী বলেন, ‘ম্যাচের আগে যখন তারা আমাদের নাম ঘোষণা করেন, তখন বলছিলেন যে শুধু জাস্টিন ও ভেনাস তাদের শিরোপা পরবর্তী বছর ধরে রাখতে পেরেছিলেন। যেমনটা আমারও সুযোগ আছে। ঘোষণায় আহ্বান জানানো হয়েছিল- তুমিও এটা করে দেখাও, তোমার দারুণ এই সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। আমাকে এ বিষয়টি বেশ অনুপ্রাণিত করেছিল।’ ফাইনালে নামার আগে ২০ বছর বয়সী কাসাতকিনা আগের রাউন্ডগুলো মিলিয়ে মোট ৯ ঘণ্টারও বেশি খেলেছেন কোর্টে। এর মধ্যে দুই ম্যাচে তিনি প্রতিপক্ষের ৫টি ম্যাচ পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ নষ্ট করে দিয়েছিলেন দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে। তাই ফাইনাল নিয়ে সিতোলিনা বলেন, ‘এই সপ্তাহে এখানে যেমন খেলেছি তা নিয়ে আমি খুশি। আমি যা অপ্রত্যাশিত সেটা নিয়েও আশা করেছি এবং তা বাস্তবও হয়েছে। চাপগুলো যেভাবে কাটিয়ে উঠেছি তা নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট আমি। কোর্টে নিজের পারফর্মেন্স নিয়ে আমি অনেক খুশি।’ এ নিয়ে সিতোলিনা-কাসাতকিনা লড়াই হয়েছে অনেকবার। সবেমাত্র তৃতীয়বার রাশিয়ান তরুণীকে হারাতে পারলেন সিতোলিনা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমার ভাল খেলার দরকার ছিল, ভাল খেলতে পেরেছি। ভাল সার্ভ করতে পেরেছি, ভালভাবে শট ফেরাতে পেরেছি এবং প্রচুর ব্যাকহ্যান্ড শট খেলতে পেরেছি।’ ক্যারিয়ারে এ নিয়ে মোট ২৯৯ ম্যাচ জিতলেন সিতোলিনা। আরেকটি ম্যাচ জিতলেই ৩০০ জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করবেন। তার বিষয়ে কাসাতকিনা বলেন, ‘ফাইনালের জন্য এখানে এলিনাই সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল। সপ্তাহজুড়েই তিনি অনেক ভাল খেলেছেন। আর ফাইনালে নিজের সেরা টেনিস নৈপুণ্যই দেখিয়েছেন। সবমিলিয়ে আমি ১২ ঘণ্টা কাটিয়েছে সেন্ট্রাল কোর্টে এবং ৪টি অবিশ্বাস্য ম্যাচ জিতেছি। তাই এখান থেকে আমি যা কিছু দেখছি সবই আমার জন্য ইতিবাচক। তবে ফাইনালের জন্য আমার যথেষ্ট সামর্থ্য ও শক্তি নিজের মধ্যে অবশিষ্ট ছিল না।’ এই হারের পরও কাসাতকিনা ক্যারিয়ারসেরা র‌্যাঙ্কিং ২০ নম্বরে উঠে আসবেন আজ নতুন করে ডব্লিউটিএ র‌্যাঙ্কিং ঘোষণার পর।
×