ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষ-ভেড়ার সঙ্কর ভ্রুণ তৈরি

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 মানুষ-ভেড়ার সঙ্কর ভ্রুণ তৈরি

বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো মানুষ ও ভেড়ার সঙ্কর ভ্রুণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ সবসময় পাওয়া যায় না। তাই গবেষণাগারে তৈরি এই সঙ্কর ভ্রুণে মানুষের অঙ্গ উৎপাদন করে এরপর সেই অঙ্গ মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সফল এই গবেষণা দরজা খুলে দিতে পারে টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থতার জন্য রক্ত নিয়ন্ত্রণে সুস্থ অগ্ন্যাশয় তৈরিতে। অর্থাৎ মানুষ ও ভেড়ার সঙ্কর ভ্রুণে মানবদেহের উপযোগী অগ্ন্যাশয় তৈরি করে তা ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করে টাইপ-১ ডায়াবেটিস নিরাময় করা যেতে পারে। এর আগে ক্যালিফোর্নিয়া সল্ক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা মানুষ ও শূকরের সঙ্কর ভ্রুণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যার লক্ষ্য ছিল, শূকরের ভ্রিুণের ভেতর থেকে ডিএনএ সরিয়ে, তারপর সেখানে মানবদেহের স্টেম সেল ঢুকিয়ে যে ভ্রুণের সৃষ্টি হবে সেটা দেখতে এবং আচার আচরণে সাধারণ একটি শূকরের মতোই হবে কিন্তু এর ভেতরে একটি প্রত্যঙ্গ যেটি তৈরি হবে মানব কোষের মাধ্যমে। এভাবে ওই প্রাণীটির ভেতরে মানব হৃদপিন্ড, কিডনি, লিভার অগ্ন্যাশয়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অঙ্গ জন্মানো হবে। কিন্তু পরবর্তীতে এই গবেষণাটিকে বিজ্ঞানীদের কোন দল সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়নি। তবে স্ট্যানফোর্ডের বিজ্ঞানী দল, যারা ইতোমধ্যে ইঁদুরের মধ্যে অগ্ন্যাশয় প্রতিস্থাপন করতে সফল হয়েছেন তারা এবার মানুষের অঙ্গ জন্মাতে মানব-ভেড়ার সমন্বয়ে তৈরি ভ্রুণ সৃষ্টি করেছেন। এই গবেষণা প্রকল্পের প্রধান স্ট্যানফোর্ডের জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হিরো নাকুচি আমেরিকান এ্যাসোসিয়েশনের এ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স কনফারেন্সে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে র‌্যাটের মধ্যে মাউসের অগ্ন্যাশয় তৈরিতে সক্ষম হয়েছি এবং সেই অগ্ন্যাশয় ডায়াবেটিস আক্রান্ত একটি মাউসে প্রতিস্থাপনের পর ডায়াবেটিস প্রায় নিরাময় হতে দেখা গিয়েছিল। এ ধরনের উদ্যোগ সফল হতে পাঁচ বছর কিংবা দশ বছর লাগতে পারে কিন্তু আমি মনে করি আমরা এক সময় এই কাজ করতে সক্ষম হব।’ এই প্রকল্পের সাফল্য ভবিষ্যতে বিশ্বে অঙ্গদানকারীদের ঘাটতি কমাতে সহায়ক হতে পারে। প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গ না পাওয়ায় সারাবিশ্বে প্রতিদিন অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। -ডেইলি মেইল।
×